ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ভারতীয় নারী ক্রিকেটে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি

ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেললেন ঝুলন গোস্বামী। দীর্ঘ দুই দশকের বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি। বিদায় বেলায় একটা আক্ষেপ থেকে গেল তাঁর। বিশ্বকাপে খেললেও সেটা নিয়ে উদ্?যাপন করা হয়নি বাংলার এই পেসারের।

সব সংস্করণ মিলিয়ে তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে একবারও জিততে পারেননি ঝুলন। এটি আক্ষেপ হয়ে আছে তার। তবে বিদায়ী ম্যাচ ও সিরিজ জয় দিয়েই শেষ করলেন তিনি। ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচ সিরিজে ধবলধোলাই করে সিরিজ জিতেছে ভারত। বিদায় সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘দুটি বিশ্বকাপ (ওয়ানডে) খেলেছি। কমপক্ষে একটা বিশ্বকাপ জিততে পারলেও আমার, ভারত ও নারী ক্রিকেটের জন্য দারুণ কিছু হতো। এটাই চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল। তবে সতীর্থরা ভালো প্রস্তুতি ও কঠোর পরিশ্রম করেছিল। আমরা টি-টোয়েন্টিসহ তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছি। কিন্তু কোনোটাতেই জিততে পারিনি। এটি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমার ক্যারিয়ারে একটি আক্ষেপ থেকে গেল।’ বিদায়ী ম্যাচে টস করেছেন ঝুলন। বিদায় বেলায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিসিসিআই, সতীর্থ, কোচ ও অধিনায়ককে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। এটি সত্যিই আমার জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত।’

২০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেকের সঙ্গেই ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন ঝুলন। ভারতের হয়ে তিনি যখন ২০০২ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন জন্মই হয়নি ব্যাটার শেফালি ভার্মার। অনেকের সঙ্গে বয়সে অসম হলেও সবার কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় ‘ঝুলন দিদি’।

বিদায় বেলায় প্রিয় দিদিকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়েছেন ভারতীয় নারী ক্রিকেটাররা।

অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেছেন, ‘ভারতের হয়ে অভিষেকের সময় অধিনায়ক ছিলেন ঝুলন। তার শেষ এক দিনের ম্যাচে আজ আমি অধিনায়ক। এটা আমার সৌভাগ্য। আমাদের কাছে ঝুলন দিদি এক দুর্দান্ত উদাহরণ। তাঁর সঙ্গে একই দলে খেলতে পারা দারুণ এক অভিজ্ঞতা। আমি ভাগ্যবান যে কাছ থেকে দেখার এবং তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাঁর কাছে অনেক কিছু শিখেছি। সেগুলো সারা জীবন মনে থাকবে।’ ভারতীয় নারী দলের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা বলেছেন, ‘নারী ক্রিকেটের উত্থানে ঝুলন দিদির অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর অভাব কখনো পূরণ করা সম্ভব নয়।’

নদীয়ার চাকদা থেকে উঠে এসে ভারতীয় নারী ক্রিকেটের উত্থানে অনন্য অবদান রেখেছেন ঝুলন। শুধু ভারতের নয় বিশ্বের তরুণ নারী ক্রিকেটারের রোল মডেল হয়েছেন তিনি। তাঁর বিদায়ে ভারতীয় নারী ক্রিকেটে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। নিঃসন্দেহে, ভারতের সর্বকালের সেরা পেসার তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close