ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৭ আগস্ট, ২০২২

খেলা দিবসে ভারতীয় ফুটবলে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার

১৬ আগস্ট তারিখটা ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে কালো দাগেই লেখা রবে। ১৯৮০ সালের এ দিনে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্ট বেঙ্গল-মোহন বাগান লড়াইয়ে দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১৬ জন। তাদের স্মরণে দিনটিকে ‘ফুটবলপ্রেমী দিবস’ হিসেবে পালন করে এসেছে ভারত। গত বছর নাম পাল্টে রাখা হয় ‘খেলা দিবস’।

৪২ বছর পর আরেকটি ১৬ আগস্টে ভারতীয় ফুটবলে ফের নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব খাটানোর প্রমাণ মেলায় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। গতকাল সকালে এক বিবৃতিতে তাদের এ শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ব্যুরো অব ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের অনুচিত প্রভাবের ফলে ফিফা সনদের পরিষ্কার লঙ্ঘন হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে আর কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না ভারত। এমনকি নারী ও বয়সভিত্তিক দলের ক্ষেত্রেও এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে। ফলে এ বছর নেপালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও শ্রীলঙ্কায় ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে অংশ নিতে পারবে না দেশটি। এ ছাড়া ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপও আয়োজন করতে পারবে না।

বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির উপায়ও বাতলে দিয়েছে ফিফা। জানিয়েছে, এআইএফএফের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির প্রশাসনের অধীনে আনতে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সব ক্ষমতা সেই কমিটিকে দিতে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফেডারেশন সভাপতির পদ আঁকড়ে ধরে ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। এ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হলে মে মাসে কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটি ফেডারেশন পরিচালনা করে আসছে। আদালত ফেডারেশনকে নির্বাচন করারও নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ফেডারেশনের ওপর আদালতের এই ‘খরবদারি’ হালকাভাবে নেয়নি ফিফা। এ ধরনের হস্তক্ষেপকে তারা সনদের পরিষ্কার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে। এ মাসের শুরুতে কড়া ভাষায় এআইএফএফকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল ফিফা। এরপরও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হলো দেশটিকে। ফিফার শাস্তির পর এআইএফএফের বতর্মান কমিটির সদস্য ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক ভাস্কর গাঙ্গুলী বলেছেন, ‘ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলাম। যদি সুপ্রিম কোর্ট বলে আমাদের আর দরকার নেই, তাহলে সরে যাব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close