ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৫ আগস্ট, ২০২২

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ

শিরোপা কার, বাংলাদেশ নাকি ভারতের?

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই কোচ-ফুটবলারদের কণ্ঠে ছিল অভিন্ন সুর, আমরা ফাইনালে খেলব এবং চ্যাম্পিয়ন হব।’ সেই দুই লক্ষ্যের প্রথমটি পূরণ হয়েছে। এবার বাকি দ্বিতীয়টি পূরণ হওয়া। আর এই লক্ষ্য পূরণের দিন আজ। আজ লক্ষ্য পূরণের স্থান ভারতের ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। আর লক্ষ্য পূরণের মঞ্চ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন এই লক্ষ্য পূরণ করতে চায় যারা, তার হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল।

আগের তিন আসরের শেষ দুটিতেও ফাইনাল খেলেছিল লাল-সবুজ বাহিনী। কিন্তু কোনোবারই শিরোপা জেতার উল্লাসে করতে পারেনি। বরং ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের ফাইনালে যথাক্রমে নেপাল ও ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল যুবাদের। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

তবে আগের দুবারের মতো ব্যর্থতার সাগরে নিমজ্জিত হতে নয় বরং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চিত্তসুখ পেতে মরিয়া বেঙ্গল টাইগার্সরা। এজন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃসংবাদ হলো শেষ লীগ-ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে লালকার্ড পেয়েছেন তাদের খেলোয়াড় শহীদুল ইসলাম। ফলে ফাইনালে তার সার্ভিস পাবে না দল।

তাছাড়া ফাইনালে বাংলাদেশ দলের জন্য আরেকটি সমস্যা হতে পারে দলের গোলরক্ষক মো. আসিফের ‘পজিশন সেন্স’ সমস্যা। টুর্নামেন্টে যে ৩টি গোল তিনি হজম করেছেন, প্রতিটি গোলের দায় তারই। কেননা প্রতিটি গোলের সময়ই তার পজিশন সেন্স ঠিক ছিল না। এখন ফাইনালেও যদি এমনটা অব্যাহত থাকে তাহলে দলের জন্য নিশ্চয়ই তা উদ্বেগের বিষয়!

বাংলাদেশ দলের কোচ পল স্মলি বলেন, ‘ফাইনালে উঠতে পারাটা আমাদের জন্য অনেক আবেগের। আমরা কোচিং স্টাফ সবাই ভীষণ খুশি। নেপাল অনেক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে আমাদের সঙ্গে। লীগের শেষ ম্যাচটা খেলে ছেলেরা অনেক ক্লান্ত। তাদের বিশ্রাম দরকার। ফাইনালের আগে তারা দুই দিন বিশ্রাম পাচ্ছে, যা যথেষ্ট। আসরে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি।

এখন মনোযোগ দিচ্ছি ভারতের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে। লীগ পর্বে তাদের সঙ্গে কেমন খেলেছি বা তাদের কত গোলে হারিয়েছি, সেগুলো এখন একেবারেই অর্থহীন। ভারতের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচটা এখন সম্পূর্ণ নতুন এক লড়াই। দেখা যাক কি হয়। কোনো সন্দেহ নেই, ভারত অনেক শক্তিশালী দল। তবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’

ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে স্মলি বলেন, ‘আমাদের পাশে থেকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রতিটি ম্যাচে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন আমাদের ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করেছে। আশাকরি ফাইনালেও তারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’ বাংলাদেশ দলের দীর্ঘদেহি ফরওয়ার্ড পিয়াস আহমেদ নোভা বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল একটাই-যেভাবেই হোক গোল করতে হবে নেপালের বিরুদ্ধে। গোল করেছি। খুব ভালো লেগেছে। ম্যাচের আগে কোচিং স্টাফ এবং সাইডবেঞ্চে বসা সতীর্থরাও আমাকে বলছিল, তোমাকে কিন্তু গোল করতে হবে।

এমনকি বন্ধু-বান্ধবরাও তাই ফোনে বলছিল। যা হোক, গোল করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আশা করি ফাইনালেও গোল করতে পারব। আমাদের প্রস্তুতি একেবারে পারফেক্ট। ওভারঅল ঠিকঠাকই আছে। যেভাবে প্ল্যান করা হয়েছে, আমরা সেভাবেই খেলছি। ফাইনালেও সেভাবেই খেলব ইনশাআল্লাহ।’

টুর্নামেন্টে ৪ গোল করে সতীর্থ মিরাজুল ইসলাম যুগ্মভাবে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায়। ৩ গোল করে এরপরেই আছেন নোভা। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে চলছে হেলদি কম্পিটিশন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close