ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৩ জুলাই, ২০২২

বিশ্বকাপে নতুন প্রযুক্তি!

একসময় ছিল যখন দর্শকরা প্রিয় দলের খেলা দেখার মাঝেই হতাশ হয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যেতেন কিংবা যারা ঘরে বসে টিভি সেটের সামনে ফুটবল উপভোগ করতে চাইতেন তাদের উপভোগের আঙিনায় হতাশার জল ঢেলে দিতেন রেফারিরা। কখনো পেনাল্টি নিয়ে, কখনো অফসাইড, আবার কখনো বল গোললাইন পেরিয়েছে বা পেরোয়নি, এসব বিষয়ে হরহামেশাই ভুল তথ্য দিতেন। যে কারণে মায়াবী ফুটবলে লাগত বিশদের মতো।

একপক্ষ খুশিমনে মাঠ ছাড়লেও আরেকপক্ষ গালমন্দ করে, নাখোশ হয়েই দিন পার করতেন। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই যন্ত্রণা আর বিতর্ক এখন অনেকখানিই কেটে গেছে। গত দুই দশকে যার মধ্যে বড় দুই সংযোজন এক. ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি, দুই. গোললাইন প্রযুক্তি। এই দুয়ের যোগসূত্রে ফুটবলপ্রেমীদের মনেও এখন তৃপ্তির জোয়ার। হয়তো দল হারলে খারাপ লাগে, কিন্তু আক্ষেপ বা বড় কোনো আফসোস আর তাড়া করে না। এমন একাধিক প্রযুক্তির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেন এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর ফুটবল। সর্বশেষ এই কাতারে যুক্ত হলো ‘সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’।

২১ নভেম্বর থেকে কাতারে বসবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় রোমাঞ্চ। যেখানে ফিফার নতুন এক চমক এই প্রযুক্তি। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক ১৪২ দিন আগে দারুণ এক প্রযুক্তির সঙ্গে ফুটবলবিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিল সংস্থাটি। এত দিন অফসাইড ধরিয়ে দিতে সাদামাটা প্রযুক্তি ব্যবহার করতেন ভিএআর রেফারিরা। তাতে অনেকেই তুলেছেন প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের ইতি টানবে অফসাইড প্রযুক্তি। যেমনটা আশা করছেন ফিফার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে রেফারিদের হেড পিয়েরলুইজি কলিনা। সবচেয়ে দ্রুত পদ্ধতিতে উদঘাটিত তথ্যও হবে একেবারে নিখুঁত। যেমনটা দাবি করছেন প্রিমিয়ার লিগের একসময়ের অভিজ্ঞ রেফারি ডেরমটও।

স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে ডেরমটও বলেন, ‘সংবাদটি খুবই আনন্দের। আপনি যখন এমন একটি প্রযুক্তির সংযোজন দেখবেন তখন ভাববেন, ফুটবলে এটা নিঃসন্দেহে দারুণ অবদান রাখবে। আমার বিশ্বাস, এই প্রযুক্তি খুবই অল্প সময়ে নির্ভুল তথ্যটাই দেবে, যেটা সবাই এত দিন দেখার অপেক্ষায় ছিল। আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে এবং প্রিমিয়ার লিগে এমন কিছু অফসাইড হতো যেগুলো নিয়ে হ্যাঁ বা না সিদ্ধান্ত দেওয়া ছিল কঠিন। এই প্রযুক্তি আসায় রেফারির জন্য খুবই ভালো হয়েছে। তারা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে সঠিক উত্তরটা বলে দিতে পারবে।’

তিন বছরের গবেষণা ফসল এই ‘সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’। গত সাত মাসে দুই টুর্নামেন্টে যেটার পরীক্ষামূলক ব্যবহার হয়েছে। সেখানে রীতিমতো সাড়া ফেলে দেওয়া এই প্রযুক্তিই হতে পারে কাতারের মহামঞ্চে রেফারিদের আরেক আলোকবর্তিকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close