ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০২২

প্রমাণ করতে চান বিজয়

মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে শুনশান নীরবতা, জাতীয় দল দেশের বাইরে, বাকিরা ছুটিতে, অথচ একাই অনুশীলনে আনামুল হক বিজয়। তার এই লড়াই আর শ্রম নিজেকে ফিরে পাওয়ার, আবার জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার। সে সময় গণমাধ্যমকে বারবার বলতেন, টেস্ট ক্রিকেটই ধ্যানজ্ঞান তার। এই ফরম্যাটকে ভালোবাসেন মন দিয়ে। সেই টেস্ট দিয়েই আবার জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় তিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন বিজয়। শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে স্কোয়াডে নাম ছিল। পরে ইয়াসির আলি রাব্বির চোটে টেস্টে নাম উঠেছে তার। এমনকি মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্তর অফফর্মে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে বেশ শক্তপোক্ত অবস্থানে আছেন। সেই সুযোগ পেলে নিজে টেস্টের জন্য কতটা নিবেদিত, তারই প্রমাণ দিতে চান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

চার দিন আগে সেন্ট লুসিয়ায় অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় বিজয় বলেন, ‘আসলে এটা সত্যি যে আমি সাদা বলে ডাক পেয়েছিলাম, আমি সাদা বলেই অনুশীলন করছিলাম কিন্তু মাথার মধ্যে সবসময়...। আমি নিজেও কয়েকবার বলেছি এবং বিশ্বাস করি যে, টেস্ট ক্রিকেটকে অনেক বেশি ভালোবাসি। এটা আমার ভেতরে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। যখন সুযোগ পাব আমি অবশ্যই প্রমাণ করার চেষ্টা করব।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমি আট বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি টেস্টে, এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। এখন নিজেকে প্রমাণ করার পালা যে, এটা আমি আসলে অনেক পছন্দ করি, আসলেই ভালোবাসি। আমি অনেক রোমাঞ্চিত, প্রসেসগুলো ফলো করব। অনেকদিন ধরে খেলে আসছি নতুন করে কোনো কিছু পরিবর্তন করতে চাই না, প্রথম শ্রেণিতে যেভাবে আমি মন দিয়ে চিন্তা করেছি খেলতে চাই, দেশের জন্য সেটাই চেষ্টা করব।’

২৯ বছর বয়সি বিজয়ের বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে প্রায় এক দশক আগে। তবে সাকুল্য ৪টি টেস্ট খেলেছেন। ৯.১২ গড়ে যেখানে বিজয় করেছেন ৭৩ রান। শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কাকতালীয়ভাবে বিজয় শেষবার সাদা পোশাকে খেলেছিলেন এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই, উইন্ডিজের মাঠেই। আবার সেই উইন্ডিজ দিয়েও ফেরার ক্ষণ গুনছেন তিনি।

সুযোগ পেলে দেশের ক্রিকেটের জন্য অবদান রাখতে চান বিজয়, ‘আসলে আমি যেটা ভাবছি বা চিন্তা করছি আমি যদি সুযোগ পাই, আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব যেন ভালো একটা সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে দিতে পারি বাংলাদেশ দলের জন্য। ওখানে আমি খেলছি বা আরেকজন খেলছে, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াটা থামানো থেকে শুরু করে ওখান থেকেই স্কোর মুভ করা থেকে শুরু করে ইচ এন্ড এভরিথিং ওই জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।’

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরার নিয়ে বলেন, ‘এটাই আমার সাহস, এটাই আমার শক্তি। আমি মনে করি এটাই আমার বাড়তি সাহস জোগায় ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে যে, আমি নিজেকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছি যেখানে এই জিনিসগুলো দেখলে বাড়তি বুস্টাপ বলেন বা আত্মবিশ্বাস আসে। অবশ্যই এটা আমাকে সাহায্য করবে। এটা অবশ্যই বড় অভিজ্ঞতা আমার জন্য যে, আমি এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close