ক্রীড়া ডেস্ক

  ২২ জুন, ২০২২

সরেই দাঁড়ালেন রায়ান গিগস

খেলোয়াড়ি জীবনে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তিদের একজন হয়ে উঠেছিলেন রায়ান গিগস। বুট জোড়া তুলে রাখার পর তার কোচিং ক্যারিয়ারটাও উজ্জ্বল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৮ সালে ওয়েলস জাতীয় দলের প্রধান কোচ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার অধীনে ভালোই করছিল ওয়েলস। কিন্তু আচমকা ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেল।

৪৮ বছর বয়সি গিগসের বিরুদ্ধে সাবেক বান্ধবীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। গিগসের শূন্যস্থানে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে রবার্ট পেজকে নিয়োগ দেয় ওয়েলস। তার অধীনে খেলেই ৬৪ বছর পর ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট পেয়েছে দলটি। তাতে করে গিগসের ফেরার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর অবশ্য তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন গিগস। নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। তাতে রক্ষা হয়নি। বরং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় গিগসকে। তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ওয়েলসের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন গিগস। অর্থাৎ কাতার বিশ্বকাপে গ্যারেথ বেলরা খেলবেন পেজের অধীনেই।

ওয়েলস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে এক বিবৃতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন গিগস। পরশু রাতে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘অনেক কিছু বিবেচনার পর আমি ওয়েলস জাতীয় পুরুষ দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসন্ন টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ) দল ও কোচিং স্টাফরা যাতে তাদের প্রধান কোচের পদ নিয়ে কোনো জল্পনায় না থাকেন এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন, এ কারণেই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিবৃতিতে বিশ্বকাপে ওয়েলসের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন গিগস। ২০১৮ সালে জাতীয় দলের ডাগআউটে কাজ শুরু করেন তিনি। তার অধীনে উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপপর্বের শীর্ষে ছিল ওয়েলস। এমন একটা শুরুর পর অঙ্কুরেই ঝরে গেল গিগসের ক্যারিয়ার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close