ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৩ মে, ২০২২

মিরপুরের ইতিহাস দেখে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা

ঢাকা টেস্ট নিয়ে আশাবাদী মুমিনুল

চট্টগ্রাম টেস্টে মাথা উঁচু করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র করেছিল বাংলাদেশ, এবার মিশন ঢাকা টেস্ট। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যের হার শূন্য হলেও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক পাচ্ছেন জয়ের সুবাস।

ম্যাচের আগের দিন কাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়ের সুযোগের কথা জানান মুমিনুল, ‘আপনি মিরপুরে খেলুন বা দেশের বাইরে, সুযোগ তো সবসময়ই থাকে। সুযোগটা কীভাবে দেখছেন এটা হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। কন্ডিশন বা সব কিছুর কথা চিন্তা করলে এটা একটা ভালো সুযোগ। সর্বোচ্চ সুযোগ না, তবে এটাও একটা সুযোগ। সুযোগ সবসময় থাকে, এটাও আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ সিরিজ জেতার।’

শেরে বাংলায় এখন পর্যন্ত ২৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে। তাতে প্রতিপক্ষ দল জিতেছে ১৩ বার, বাংলাদেশ জিতেছে ৬ বার, ড্র হয়েছে ৩ বার আর ১টি ম্যাচ বাতিল হয়েছে। সবশেষ ড্র হয়েছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। তবে এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩টি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যানে বোঝা যাচ্ছে এই মাঠে ফল আসার সম্ভাবনাই বেশি। সেটি মেনেই মাঠে নামবেন মুমিনুলরা। জয়ের লক্ষ্যেই পরিকল্পনা করে আঁটঘাট বেঁধে লঙ্কাবধের আত্মবিশ্বাস টেস্ট অধিনায়কের।

‘মিরপুরে ফলাফল ছাড়া ম্যাচ খুব কমই হয়। শেষ কবে ফলাফল আসেনি বলা কঠিন। সবসময় ফলাফল আসে। বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ, সঙ্গে ব্যাটিংও। অবশ্যই আমরা পরিকল্পনা করি, কোন জিনিস নিয়ে কাজ করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’ বলছেন মুমিনুল।

মুমিনুলের চাওয়া দলগতভাবে খেলে সাফল্য ছিনিয়ে আনা। তিনি মনে করেন. টেস্ট ক্রিকেটে একক পারফরম্যান্সে জেতা সম্ভব নয়। দলীয়ভাবে ১৫টি সেশন কর্তৃত্ব দেখিয়েই জিততে হবে দলকে। কোনো এক সেশনে বাজেভাবে গেলেই এর প্রভাব পড়বে পুরো ম্যাচেই।

মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ। চট্টগ্রাম টেস্টের কথা চিন্তা না করে এখন আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে। আশা করি ঢাকা টেস্টেও যেন দলগতভাবে খেলতে পারি, তাহলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’

অন্যদিকে সাগর পাড়ের টেস্ট শেষ হওয়ার পর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়ে দিয়েছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তিন স্পিনারের সঙ্গে তারা খেলাবেন একজন মাত্র পেসার। ধনঞ্জয়ার সেই মন্তব্য মনে করিয়ে দিতেই এক চোট হেসে নিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড। তিনি একাদশের এই সমন্বয় নিশ্চিত না করলেও তা উড়িয়েও দিলেন না। কাল দুপুরে অনুশীলনে নামার আগে গণমাধ্যমে কথা বলতে আসেন সিলভারউড। সেখানে মূল আলোচনাই উইকেট নিয়ে।

মিরপুরের বাইশগজ চিরায়তভাবেই স্পিনারদের পক্ষে কথা বলে এসেছে। রাতারাতি সেই জায়গা থেকে সরে আসার বাস্তবতা নেই। সফরকারী লঙ্কানরা এই মাঠে আগেও একাধিকবার খেলে গেছে। ২০১৮ সালেও চট্টগ্রামে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের পর ঢাকায় এসে বাংলাদেশকে স্পিনে কাবু করে গিয়েছে তারা।

সিলভারউডের আভাস সেসব ইতিহাস দেখেই এবারের পরিকল্পনা সাজাবেন তারা, ‘আমরা প্রতিটি মাঠের পরিসংখ্যান দেখে এগোই। আমরা দেখি এখানে আগে কি ফল হয়েছে। কি রকম বোলিং বা ব্যাটিং লাইনআপ ছিল। আমরা ইতিহাসকে বিবেচনায় নেই। তারপর আমরা আমাদের দল সাজাই। আমাদের বারোজন ঠিক করা আছে। কিন্তু এখনি তা বলতে চাই না।’

চট্টগ্রামে দুই পেসার ও দুই স্পিনার খেলিয়েছিল লঙ্কানরা। ঢাকায় তিন স্পিনারের সঙ্গী হতে পারেন এক পেসার। দুই পেসার খেলালে চামিকা করুনারত্নের সুযোগও আসতে পারে। পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি তার ব্যাটিংও বেশ ভালো, ‘সম্ভাবনা আছে (একাদশে বদলের)। যদি পরিসংখ্যান দেখেন, আমরা এমন একটা দল বানাবো যেটা সব ধরনের বিকল্প রাখবে। এক পেসার রাখলেও বা অন্য কিছু করলেও যাতে সুবিধা পাওয়া যায়। আমরা অধিনায়কের জন্য যথেষ্ট বিকল্পের ব্যবস্থা করতে চাই।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close