ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

টাইগারদের ভবিষ্যৎ তারকা জয়

যুব বিশ্বকাপ আর ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানোর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও রাঙিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) অভিষেক হয়েছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। আর বিপিএল অভিষেকেও যথারীতি ছড়িয়েছেন আলো। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে নিজের প্রথম বিপিএল ম্যাচ খেলতে নামেন তরুণ এই ব্যাটার। ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাট করেছেন ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত। ৩৫ বল মোকাবিলা করে রান করেছেন ৪৮, হাঁকিয়েছেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কা।

জয়ের মতোই শান্তশিষ্ট কিন্তু কার্যকরী ব্যাটিং দেখার পর তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরামর্শক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্টিভ রোডস। রোডস আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের উজ্জ্বল এক তারকা হতে যাচ্ছেন জয়।

রোডস বলেন, ‘বিপিএল অভিষেকেই জয় অনেক ভালো খেলেছে। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। সবসময় সবকিছু খুব স্বাভাবিক রাখে। কখনো ঘাবড়ে যেতে দেখিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র পা রেখেছে, এখন বিপিএলেও পা রাখল। সে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল একজন তারকা।’

জয়ের ইনিংসে একটিবারও তাড়াহুড়া দেখা যায়নি। তিন ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে সে পরিস্থিতিও সামলেছেন ঠাণ্ডা মাথায়। আবার সাবধানী ব্যাটিং করতে গিয়ে যেন রান কমে না যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রেখেছেন। ২ রানের জন্য অর্ধশতক না হাঁকালেও জয় মুগ্ধ করেছেন রোডসকে। তিনি বলেন, ‘বড় শট না হাঁকিয়েও সে রানের গতি বাড়াতে পারে। নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক জয়ে অবদান রেখেছিল তাও শক্তিশালী একটি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। সে অনেককে অবাক করেছে। তরুণরা আসবে, ভালো করবে, এটাই সে করেছে।’ এছাড়াও টাইগারদের সাবেক এই পেসারের কুমিল্লার আরো দুই ক্রিকেটার নাহিদুল ইসলাম ও তানভীর ইসলামকেও ভালো লেগেছে। দুজনের কেউই খেলেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এমনকি জাতীয় দলে কেউ কখনো ডাকও পাননি। অথচ নাহিদুল ও তানভীরই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। তাদের স্পিন মুগ্ধ করেছে কুমিল্লার পরামর্শক, প্রখ্যাত কোচ স্টিভ রোডসকে।

কুমিল্লার দুটি ম্যাচেই নাহিদুল ও তানভীর দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মিরপুরের উইকেটকে কাজে লাগিয়ে ধাঁধায় ফেলেছেন ব্যাটারদের। রান খরচের দিক থেকেও ছিলেন অনেক মিতব্যয়ী। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটও আদায় করে নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও নাহিদুল ও তানভীরের এমন বোলিং মূল্যায়ন করতে গিয়ে তাদের প্রশংসায় ভাসান রোডস। তিনি বলেন, ‘নাহিদুল ও তানভীর এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি। কিন্তু দুজনই স্মার্ট। তারা তাদের বোলিং সম্পর্কে জানে, জানে তারা কী করতে পারে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে। অনুশীলনে তাদের দেখে আমি মুগ্ধ। তারা বুদ্ধিমান ক্রিকেটার।’

মাঠের কাজটুকু খেলোয়াড়দেরই করতে হয়। নাহিদুল আর তানভীর তা করতে পারায় রোডসের চোখেমুখে তৃপ্তি, যথারীতি কণ্ঠেও তার ছাপ। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মাঠে পাঠানোর পর তাদেরই খেলতে হয়, সালাউদ্দিন হয়তো একটু-আধটু পরামর্শ দিতে পারে। দায়িত্ব নিয়ে তারা ভালো বোলিং করছে। কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে।’

নাহিদুল ও তানভীরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কুমিল্লার অন্য বোলারদের কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে। পেসাররা যে পিছিয়ে আছেন, এমনও নয়। মুস্তাফিজুর রহমান তার ধারাল বোলিং নিয়ে হাজির বিপিএলেও। রোডস মনে করেন, ২০১৯ সালের মুস্তাফিজের চেয়ে এখনকার মুস্তাফিজ আরো বেশি ধারাল।

তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ এখন আগের চেয়েও ভালো একজন বোলার। আমি এখানে থাকতে তাকে যেমন দেখেছিলাম এখন সে তার চেয়েও ভালো। সবাই জানে সে কী করতে পারে। ওয়ানডের জন্য কিছু জিনিসে সে উন্নতি করেছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close