ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

রোডসে ভরসা সালাউদ্দিনের

বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে দলের পরামর্শক করে এনেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রোডস কুমিল্লার পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করবেন।

মূল প্রস্তুতি শুরু হবে আজ, তার আগে গতকাল মিরপুরে দেখা যান কুমিল্লার কোচণ্ডখেলোয়াড়দের। ছিলেন রোডসও। দীর্ঘদিন পর ফিরে প্রথম দেখাতেই কুমিল্লার ক্রিকেটারদের নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় তাকে। এমনকি রোডস মুগ্ধ করেছেন কুমিল্লার প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেও। রোডসের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় কাজ করা সহজ হবে, এমন বিশ্বাস থেকে সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভালো কিছু পেলে, দলের লাভ হলে তো খারাপ কিছু না। তিনি অনেক অভিজ্ঞ, বাংলাদেশেরও প্রধান কোচ ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম সফল কোচ। তার মাথা থেকে অনেক ভালো কিছু আসতে পারে। আমাকে হয়তো অনেক ভালো তথ্য দেবেন, আমি হয়তো ভালো কিছু শিখতে পারব।’

সালাউদ্দিন আরো বলেন, ‘সে খুব বিনয়ী, ভালো মানুষ, এসেই ছেলেদের কাছে নিজের ভূমিকা পরিষ্কার করেছে। ভালো ভালো কিছু পরামর্শ দিয়েছে, কীভাবে কী করতে হবে এসব নিয়ে। সে দলের পরামর্শক হিসেবে আছে।’

যে দলের কোচ দেশের সেরা ক্রিকেট গুরু খ্যাত সালাউদ্দিন, সেই দলে রোডসকে কেন আনতে হলো কুমিল্লার? এমন প্রশ্ন উঠল ক্রিকেট পাড়ায়। এমন প্রশ্ন ওঠা অবশ্য অবান্তর নয়। তবে সালাউদ্দিন মনে করেন, রোডসের কারণে তার কার্যক্রমে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ার সুযোগই নেই। সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ রকম হওয়ার সুযোগ খুব কম। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি- যখন খেলা চালাব তখন আমার নিজের মাথা থেকেই ভুল করব। আমি অন্যের মাথা থেকে ভুল করতে রাজি না। যদি ভুল করি ওখান থেকে কিছু শিখতে পারব। আরেকজনের মাথা থেকে ভুল করার সুযোগ আমার নেই, সেই ক্যারেক্টারও নেই। যদি ভুল হয়, পুরো দোষটা আমারই হবে। ভালো হলেও আমারই হবে। অন্যের মাথা থেকে ব্রেন ধার করে আমি খুব কম কাজ করি।’

সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভরতা না দেখিয়ে এবার রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুবারের শিরোপাজয়ী দলটি এবার পঞ্চপা-বের কাউকে দলে ভেড়ায়নি। এমনকি প্লেয়ার্স ড্রাফটে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তামিম ইকবালকে দলে ভেড়ানোর সুযোগ ছিল কিন্তু কুমিল্লা সেই পথে হাঁটেনি। মাশরাফী ও তামিমের মতো অভিজ্ঞদের ছাড়া কুমিল্লা হয়তো জয়ের ছকই ঠিকই এঁকেছে, তবে বাঁধ সেধেছে দলের সমন্বয়ের বিষয়টি। বিপিএলের আগে ক্রিকেটারদের একসঙ্গে পাওয়া যায় অল্প সময়ের জন্য। এই অল্প সময়ে দলের সবার মধ্যে সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করতেন সিনিয়ররাই।

মাশরাফী-তামিমের মতো সিনিয়ররা না থাকায় কুমিল্লা তাই দেখছে ‘কমিউনিকেশন গ্যাপের’ শঙ্কা। এই বিষয় নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটার থাকলে অনেক ভালো হয়। যোগাযোগ ভালো হয়, বিশেষ করে বিদেশিদের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও নানা টুর্নামেন্টের কারণে জানাশোনাটা ভালো হয়। যেহেতু এবার আমাদের দলে সিনিয়র কেউ নেই, তাই এটা নিয়ে আর চিন্তা করছি না। কমিউনিকেশন কীভাবে ভালো রাখা যায় এটা নিয়ে কাজ করছি।’

কুমিল্লা তাদের বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে পাচ্ছে একটু দেরিতে। এতে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের বোঝাপড়া নিয়ে একটু শঙ্কা রয়ে গেছে। সালাউদ্দিন বলেন, ‘অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো আমরা বিদেশিদের আগে নিয়ে আসতে পারিনি। একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ থেকে যায়। সিনিয়ররা থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এই দূরত্ব কাটিয়ে উঠতে পারে। এই জায়গায় হয়ত আমাদের একটু ঘাটতি থাকতে পারে। চেষ্টা করব কাটিয়ে ওঠার জন্য।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close