ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

মিরপুরে বিপিএলের আবহ

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এর ইনডিপেনডেন্ড কাপের জন্য আসন্ন বিপিএলের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন আর বিসিএলের সেই ঝামেনা নেই। তাই মিরপুরে ফিরেছে বিপিএলের আবহ।

ডিআরএসের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ক্রিকেটের অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এমনকি বিসিবির পক্ষ থেকে আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। ডিআরএস প্রাপ্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও এখনই আশা ছাড়ছে না বিসিবি।

আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা যায় বলে ক্রিকেট বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় ডিআরএস। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ডিআরএসের ব্যবহার যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু বিপিএলের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না ডিআরএস পরিচালনা প্রতিনিধি।

কয়েকদিন ধরেই এ নিয়ে তুমুল আলোচনা দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, ডিআরএসের খোঁজে বোর্ডের পক্ষ থেকে আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির সঙ্গেও কথা বলেছি। কারণ আইসিসিরও একটা সোর্স আছে। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।’

ডিআরএস পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানের দাবি, তাদের সক্রিয় কর্মীর সংখ্যা কম থাকার কারণে বিশ্বব্যাপী কাজ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। সুজনের ভাষায়, ‘আপনারা দেখছেন প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে। আমাদের যা বলেছে- ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ম্যান পাওয়ার কাজ করছে। টেকনোলজি আছে কিন্তু ম্যান পাওয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। ওদের মোট কর্মীর অর্ধেক কাজ করছে। তার ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে খুব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।’

‘তারপরও ওরা বলেছে- যেহেতু আমরা সরাসরি যোগাযোগ করছি, যদি কেউ আসতে পারে তাদের ব্যবস্থা করা যায় কি না। সেভাবেই যোগাযোগ রাখছি।’

বিপিএলের সঙ্গে একই সময়ে মাঠে গড়াবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ডিআরএসসহ অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা থাকছে পিএসএলে। বিসিবির মতে, বিপিএলের সূচি নির্ধারণে দেরি হওয়ার কারণেই কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

প্রধান নির্বাহী তাই আহ্বান জানালেন তুলনা না করার। তিনি বলেন, ‘এখানে তুলনার কিছু নেই। একেক দেশের পরিস্থিতি একেক রকম। আমরা শেষ মুহূর্তে এসে সূচি দিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে বিপিএল করা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। ওই সময় হয়ত ছিল না। এ কারণে প্রোডাকশন টিম ডিআরএস নিশ্চিত করতে পারেনি।’

গতকাল মিরপুরের একাডেমি মাঠে দলের অনুশীলনের সময় সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘ফরচুন বরিশালের হয়ে কাজ করার জন্য আমি খুবই রোমাঞ্চিত। যেই দলে সাকিব আল হাসান আছে, সেই দলে কাজ করা তো সব সময়ই সহজ হয়। আমি আর সাকিব ঢাকার (ঢাকা ডায়নামাইটস) হয়ে চার বছর কাজ করেছি। আমার আর সাকিবের রসায়ন সব সময়ই ভালো।’

নিজের দল নিয়ে সুজন বলেন,‘অনেক চিন্তাভাবনা করেই দল করেছি। তারপরও বলব যে, প্রত্যেকটা দলই শক্তিশালী। আমরাও যথেষ্ট শক্তিশালী দল। মাঠের পারফরম্যান্সটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা মাঠে কতটা ভালো খেলছি, মোমেন্টাম কতটা ভালো থাকে। যদি ওরকম থাকে, তাহলে আমরা প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যথেষ্ট ভালো দল।’

প্রথম দিনের অনুশীলনে দলের সবাই ছিলেন না। বিদেশি ক্রিকেটাররা কেউ এখনো আসেননি। খুব শিগগির চলে আসবেন তারা। নিজের দলকে ভারসাম্যপূর্ণ বলে সুজন বলেন, ‘আশা করি সব ঠিক থাকলে আমাদের সামর্থ্য আছে।

আমাদের দলটা যদি দেখেন খুবই ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য ঠিক যেমন হওয়া উচিত। বাকিটা তো বোঝা যাবে মাঠে। সত্যি বলতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এমন একটা খেলা, আপনি বলতে পারবেন না কোনটা ভালো দল কোনটা খারাপ দল। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলতে পারবে তারাই জিতবে। তবে আমি আশাবাদী ইনশাআল্লাহ।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close