ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৩ নভেম্বর, ২০২১

তরুণেই আস্থা মাহমুদউল্লাহর

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর অনেকটা সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়াই তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে পাফরফরম্যান্সের কোনো পরিবর্তন হয়নি টাইগারদের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, তরুণদের টি-টোয়েন্টিতে আরও সময় দিতে হবে ভালো পারফরম্যান্স পেতে হলে।

ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘বেশ অনেক নতুন ছেলে ছিল, যাদের অভিষেক হয়েছে। সাইফের অভিষেক হয়েছে। শহিদুলের অভিষেক হয়েছে, আজকে ভালো বোলিং করেছে। তরুণদের ছাপ রাখার জন্য ভালো সুযোগ ছিল এটি। তবে সম্ভবত কিছুটা সময় তাদের দরকার। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এতটা সহজ নয়। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। আশা করি তারা সামলে নেবে এবং ভালো পারফর্ম করে।’

তিন ম্যাচের কোনোটিতেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভালো করতে পারেননি। বোলাররা চেষ্টা করলেও ব্যাটাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারেনি। অধিনায়ক জানিয়েছেন, ম্যাচ জিততে পারলে বাংলাদেশের জন্য বেশ ভালো হতো। আত্মবিশ্বাসটাও ভালো থাকত। অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, যদি দু-একটি ম্যাচ জেতা যেত, দলের আত্মবিশ্বাস আরও ভালো থাকত। যেরকম আমাদের ড্রেসিংরুমটা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় খুব উৎফুল্ল ছিল। অবশ্যই ম্যাচ হারলে সব টিমমেটের খারাপ লাগে। অনেক সংশয় সৃষ্টি হয়। তবে ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে সবাই। এফোর্ট দিয়েছে। চেষ্টা করেছে জানপ্রাণ দিয়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।’

বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছিল সেটা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছিল। তবে অধিনায়ক মনে করেন, সে উইকেটের তুলনায় এই সিরিজের উইকেটটা বেশ ভালো ছিল। উইকেট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর মূল্যায়ন, ‘উইকেট ভালো ছিল শেষ দুটি সিরিজের তুলনায় এবার হোম সিরিজে।’

তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বাংলাদের এমন পিচ নিয়ে বেশ সমালোচনা করেছেন। গতকাল মিরপুরে শেষ বলের রোমাঞ্চে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করার পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক টুইটারে উত্তরসূরিদের অভিনন্দন জানালেও পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই আত্মার অনুসন্ধানে (প্রাণবন্ত পিচ) নামতে হবে। নয়তো এ ধরনের পিচে জয়ের পরও বিদেশে ও বিশ্বকাপে সাদামাটা পারফরম্যান্স চলতেই থাকবে। তাদের দলে অনেক প্রতিভা, খেলাটির প্রতি গভীর আবেগেরও অভাব নেই। কিন্তু উন্নতি করতে চাইলে জরুরি ভিত্তিতে ভালো পিচ বানাতে হবে।’

যদিও বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর স্পোর্টিং উইকেট তৈরির আশ্বাস দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো পাকিস্তান বধের নেশায় সেই নিচু-মন্থর উইকেট বানিয়ে রেখেছে গ্রাউন্ডস কমিটি। কিন্তু নিজেদের ফাঁদে এবার নিজেরাই আটকা পড়ল। ঘরের মাঠে প্রথমবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের।

পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ সাকলাইন মোস্তাকের কাছে বাংলাদেশের এমন কন্ডিশনকে বেশ অদ্ভুতই মনে হয়েছে। উপমহাদেশের দল হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষেও মন্থর উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলেও কন্ডিশন নিয়ে খুব একটা খুশি নন পাকিস্তানের হেড কোচ সাকলাইন মুশতাক।

বিশেষ করে দুবাই ও বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেকটা একরকম হলেও পাকিস্তানের হেড কোচের কাছে এখানকার কন্ডিশন অদ্ভুতই মনে হয়েছে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের তুলনায় এখানকার কন্ডিশন অদ্ভুত ছিল। এটা সহজ ছিল না, কিন্তু বোলাররা তাদের পরিকল্পনা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেছে।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান। দুই দলের মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ ওভারে রিয়াদের দারুণ বোলিংয়ের পরও ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close