ক্রীড়া প্রতিবেদক
রানে ফিরে খুশি মিথুন
এইচপি দলের বিপক্ষে ‘এ’ দলের হয়ে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়েছেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন। তার শতকে ‘এ’ দল ছুঁড়ে দিয়েছে ৩৬৬ রানের বড় লক্ষ্য।
প্রথম ইনিংসে ‘এ’ দল অলআউট হয়েছিল ২৩১ রানে। জবাবে ব্যাট করতে এইচপি দল জড়ো করে ২৩৭ রান। ৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু করা ‘এ’ দল তৃতীয় দিন শেষ করে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে।
৬৫ রানে অপরাজিত ইয়াসির আলী চৌধুরী ১৪ রানের জন্য পাননি শতকের দেখা। ১১৬ বলে ৮৬ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরলেও হাল ছাড়েননি মিথুন। ইরফান শুক্কুরের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ের সঙ্গ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান শতকের পথে।
মিথুনকে ৯৯ রানে রেখে বিদায় নেন শুক্কুর। দলীয় ৩৬৯ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৩৭ রান করেন। তার বিদায়ের পরপরই মিথুন পূর্ণ করেন শতক। ২০৪ বলের মোকাবিলায় পেয়ে যান কাক্সিক্ষত শতকের দেখা। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা।
মিথুন ২০৪ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে ‘এ’ দল। ১০৮.২ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারানো ‘এ’ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭১ রান। জয়ের জন্য এইচপি দলের লক্ষ্য তাই ৩৬৬ রান।
ম্যাচ শেষে মিথুন জানান, এই শতক কতটা প্রেরণা জুগিয়েছে তাকে। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য ম্যাচগুলো খুব দরকার ছিল। গত কিছু দিন খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। রান করতে পেরে ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি, এটা আমাকে অনেক সহায়তা করবে।’
টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের। বিশেষত টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ দিতে এইচপির সঙ্গে এই সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। চট্টগ্রামের চেনা মাঠে খেলতে পেরে মিথুন বেশ আনন্দিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল ম্যাচ প্র্যাকটিস। এখন পর্যন্ত প্র্যাকটিস খুবই ভালো হয়েছে। এখানকার সুযোগ-সুবিধা খুবই ভালো ছিল। কয়েক দিন আগে এসেছি, ভালো অনুশীলন সুবিধা পেয়েছি। চট্টগ্রামের উইকেট সব সময়ই ভালো থাকে। সবকিছু মিলিয়ে ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছে।’
"