ক্রীড়া ডেস্ক
হাকিমিতে রক্ষা পিএসজির
লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা মেতজ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল সময়ের অন্যতম শক্তিশালী দল পিএসজির জন্য। যদিও হাঁটুর চোটে ছিলেন না লিওনেল মেসি। কিন্তু আক্রমণভাগের অন্য খেলোয়াড়রাও পারলেন না জ্বলে উঠতে। অথচ ম্যাচের প্রায় শুরুতেই দলটিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। এরপর মেতজ সমতায় ফিরলে এই ডিফেন্ডারের শেষ মুহূর্তের গোলেই স্বস্তির জয় পায় পিএসজি।
স্তাদে সেইন্ট সিম্ফোরিয়ানে মেতজের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। আগের ম্যাচে অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষেও যোগ করা সময়ের গোলে জিতেছিল পিএসজি। এদিনও প্রায় একই ধরনের জয়। তবে স্বস্তির জয়ে লিগ ওয়ানে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল দলটি। মেসের বিপক্ষে তারা জিতল টানা ১১ ম্যাচ।
সাত ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে পিএসজি। তলানিতে থাকা মেতজের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মার্সেই।
এদিন ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল পিএসজি। শটও নিয়েছিল ১৫টি। অবশ্য এর ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অন্যদিকে মেতজের ছয় শটের মধ্যে দুটি ছিল লক্ষ্যে।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের থ্রু বল ধরে মাউরো ইকার্দির শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও একেবারে গোললাইন থেকে ডাইভ দিয়ে ঠেকান মাথিউ উদল। ফাঁকায় আলগা বল পেয়ে হাকিমির ভলিও ফিরিয়ে দেন বুবাকার কোয়াতে, তবে বল গোললাইন পেরিয়ে গেলে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নেইমারের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শট না নিয়ে গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন তিনি। কিন্তু তার পা থেকে বল কেড়ে নেন আলেকসান্দ্রে ওদিকজা।
উল্টো ৩৯ মিনিটে সমতায় ফেরে মেতজ। কর্নার থেকে আসা বলে দারুণ এক হেডে বল জালে পাঠান মালির ফুটবলার কোয়াতে। বিরতির আগে এগিয়েও যেতে পারত দলটি। অসাধারণ এক সেভ করেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। তাকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি লামিন গেয়ি। ৮৩ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া এমবাপ্পের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মেতজ গোলরক্ষক।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অযথা সময়ক্ষেপণ করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন মেতজের ডিফেন্ডার ডিলান ব্রন। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে লালকার্ড দেখেন দলটির কোচও।
যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন হাকিমি। নেইমারের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট জালে জড়ালে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
"