ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সুবিধা প্রতিপক্ষরাও নিয়েছে

টানা তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে তাদের মাঠে হারানোর পর ঘরের মাঠে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। পরের দুই দলের বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার সিরিজ জেতে টাইগাররা। তবে সিরিজ জিতেও প্রশংসার সঙ্গে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে উইকেট নিয়ে।

ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেকটু ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খেলা হবে মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে পিচ নিয়ে সমালোচনারও কারণ দেখেন না রিয়াদ।

তিনি বলেছেন, ‘আমি এটাতে একমত যে, পিচ ও কন্ডিশন বোলিং সহায়ক ছিল। এটা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন। কিন্তু এটা আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্যও কঠিন ছিল। এমন তো না যে আমরা ব্যাটিংয়ে নামলেই এটা ব্যাটিং স্বর্গ হয়ে গেছে। যখন আমাদের বোলাররা জিততে সহায়তা করছে, কেন তাদের কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে?’

জিম্বাবুয়েকে তাদের মাঠে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জিতেছে ১৯৪ রান তাড়া করে। ওই উদাহরণ টেনেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বলেছেন বড় রান তাড়াটাই তাদের মানসিকভাবে এগিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের তিনটা সিরিজ জিততে ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় রান তাড়া করে জিতেছি। শেষ ম্যাচটাতে চার বল বাকি থাকতেই ১৯৪ রান তাড়া করেছি। আমি বুঝতে পারছি যে এটা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কিন্তু আমরা তাদের মাঠে খেলেছি। ১৯০ রান তাড়া করা কোনো দলের বিপক্ষেই সহজ না।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে রিয়াদ বলেন, ‘আমি আশা করি দুবাই ও আবুধাবির পিচগুলো আরেকটু বেশি ব্যাটিং সহায়ক ও স্পোর্টিং হবে আমরা যেটাতে খেলেছি তার চেয়ে। আমার মনে হয় সেখানে ব্যাটসম্যানদের আরেকটু দায়িত্ব নিতে হবে। সেদিক থেকে আমাদের মধ্যে ব্যর্থ হওয়ার ভয় থাকলে হবে না। আমরা যাই করি না কেন, আক্রমণাত্মক হতে হবে।’

অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মার্চে শুরু হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগ। তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস স্বস্তি দেয়নি। করোনার প্রকোপে দুই রাউন্ড পরই সাময়িক স্থগিত করা হয় এনসিএল। জানানো হয় খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে স্থগিত হওয়া এই লিগ। তবে ছয় মাস কেটে গেলেও এনসিএল মাঠে ফেরেনি। এবার ফিরছে বটে তবে স্থগিত হওয়া এনসিএল নয় নতুন মৌসুম শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

যেহেতু নতুন মৌসুম, এজন্য নতুন করে ঢেলে সাজাতে হচ্ছে সবকিছু। এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে শুরু করার ভাবনা বোর্ডের। এজন্য বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাছে তাদের দল চেয়েছেন নির্বাচকরা। এবার ২০ সদস্যের স্কোয়াড থাকবে প্রতিটি দলে। যেখানে ১৬ জন চূড়ান্ত স্কোয়াডে, বাকি চারজনকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হবে।

নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এনসিএল নিয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আমরা নতুন মৌসুম শুরু করব। আগেরটা সেখানেই শেষ। সেই মৌসুম আর নতুন করে শুরু করা সম্ভব নয়। যেহেতু এবার নতুন মৌসুম, সেহেতু আমরা সব নতুন করে শুরু করব। এর জন্য আলাদা টিম হবে।’

স্থগিত হওয়া এনসিএল শুরুর আগে করোনাভাইরাস হানা দিয়েছিল দলগুলোতে। একাধিক ক্রিকেটারসহ ম্যাচ অফিশিয়ালদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। লিগ চলাকালীনও আক্রান্তর খবর মেলে। এবার জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে বাড়তি ভাবনা বোর্ডের। এজন্য মাত্র দুটি শহরের চার ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভাবনা বোর্ডের।

রাজ্জাক আরো বলেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে এবার দুই শহরে লিগ আয়োজনের কথা ভেবেছি আমরা। কক্সবাজার আর সিলেটের চারটি ভেন্যুতে খেলাগুলো হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে সুরক্ষ বলয় তৈরি হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close