ক্রীড়া প্রতিবেদক
দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়
নাইমুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে একশ পার হতেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় পথ হারাতে বসেছিল স্বাগতিকরাও। তবে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল মেহরব হাসানের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় যুব ওয়ানডে ৩ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ১০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে তারা ২৩.১ ওভারেই।
প্রতিপক্ষকে অল্পতে থামিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর নাইমুর ১৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। বাঁহাতি এই স্পিনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান নিয়মিত বিরতিতে হারায় উইকেট। দলটির হয়ে ২৫ রানও পার করতে পারেনি কেউ।
আফগান ইনিংসে প্রথম আঘাত রিপন মন্ডলের। সুলিমান সাফিকে ফিরিয়ে দেন তিনি কেবল ৩ রানে। গোলাম কিবরিয়া বোল্ড করে দেন ইশহাক জাজাইকে। নিজের পরের ওভারে এই পেসার ফেরান ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৫ রান করা সাবাউন বানুরিকে।
এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে শিকার ধরা শুরু করেন নাইমুর। অধিনায়ক ইজাজ আহমাদকে ফেরানোর পর আল্লাহ্? নুরকে এলবিডব্লিউ করে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এরপর দলটির রান একশ পার হয় কামরান হোটাকের ব্যাটে। ১৮ রান অপরাজিত ছিলেন তিনি।
২০ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শেষের চার ব্যাটসম্যানের কেউ করতে পারেননি ৫ রানও।
বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের পর ব্যাট হাতে ভালো শুরুর আভাস দেন মফিজুল ইসলাম ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ৩৭ রান উঠতেই নাবিলের বিদায়ে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্যকে ফেরান শহিদউল্লাহ হাসানি। ৩১ রান করে মফিজুল বোল্ড হয়ে যান ইজহারুলহক নাবিদের বলে। তার ৩৯ বলের ইনিংসে এক ছক্কা ও ৩ চার। এই লেগ স্পিনার আরিফুল ইসলামেরও স্টাম্প এলোমেলো করে দেন।
অধিনায়ক মেহরবকে রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি। পরপর দুই ওভারে খালিদ হাসান ও তাহজিবুল ইসলামকে ফিরিয়ে দিয়ে আফগানদের জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন হাসানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল
১০১ (৪২.৩ ওভার)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল
১০২/৭ (২৩.১ ওভার)
ফলাফল
৩ উইকেটে জয়ী
(বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল)
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ
নাইমুর রহমান।
"