ক্রীড়া ডেস্ক

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

৯ জয়ে ৩ সিরিজ

১৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০ ওভারের বিশ্ব আসর শেষে পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফর থাকলেও সেখানে নেই কোনো টি-টোয়েন্টি। চলতি বছর বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছে ১৬ ম্যাচ, যার মধ্যে ৯ জয় পেয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আর এই জয়ের পথে প্রথমবারের মতো টানা তিনটি সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়েছে মাহমুদউল্লাহরা।

এ বছর রয়েছে আরো বেশ কিছু টি-টোয়েন্টি, তবে সবই বিশ্বকাপে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের আসর বাদ দিলে সাফল্য বিবেচনায় ২০২১ সাল টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বছর হয়ে থাকবে। নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি মিশন। কিউই কন্ডিশনে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে হারতে হয়। তবে গত জুলাইতে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ২-১-এ সিরিজ জিতে যে সাফল্য যাত্রা শুরু হয়, সেটি সমানভাবে চলেছে সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারানোর পর কিউইদের ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লারা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করার পর বাংলাদেশের জয়সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টি। একপঞ্জিকা বর্ষে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড এটিই। এর আগে ২০০৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওই বছর ১৬ ম্যাচ খেলে সাত জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ১৬ ম্যাচ খেলে জয় ছিল পাঁচটি। আর এবার ৯ জয় এলো ১৬ ম্যাচে। এই সঙ্গে প্রথমবার টানা তিন সিরিজ জয়ের আনন্দে মেতেছে বাংলাদেশ।

এমন সাফল্য নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই বিশ্বাস করেছি, আমরা বিশ্বাস করেছি, এই সংস্করণে আমরা ভালো দল। স্রেফ নিজেদের সামর্থ্য ও স্কিলে আস্থা রাখার বিশ্বাসটা দরকার আমাদের, যেন বাংলাদেশকে কিছু জয় এনে দিতে পারি। এবার এই ধারা (জয়ের) ধরে রাখতে পেরে আমরা খুশি।’

এদিকে নিউজিল্যান্ডের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে চারটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করেছিল মাহমুদউল্লাহরা। নিউজিল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দেখে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের মতো কন্ডিশন করে অনুশীলন করেছে- বাংলাদেশে পা রেখে এমনটাই জানিয়েছিলেন কিউই ক্রিকেটাররা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ও পঞ্চম ম্যাচ জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও শেষ পর্যন্ত কন্ডিশন ‘জিততে’ পারায় দারুণ খুশি সফরকারী অধিনায়ক টম ল্যাথাম।

শুক্রবার ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে ১৬১ রান করে নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ১৩৪ রানে আটকে দেয় কিউইরা। সব মিলিয়ে সিরিজের শেষটাতে এসে কন্ডিশন জয় করে তৃপ্ত দলটির অধিনায়ক ল্যাথাম, ‘আমাদের বোলাররা পুরো সিরিজে ছিল চমৎকার। এই মুহূর্তগুলো পাকিস্তান সিরিজে কাজে লাগাতে পারবো বলে আশাবাদী আমরা। ক্রিজে সময় কাটাতে পারাটা দারুণ, যদিও খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলিনি, তারপরও এই কন্ডিশনে লড়াই করতে পেরে ভালো লাগছে।’

প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে বেশ লড়াই করেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই লড়াইয়ের প্রভাব নিয়েই তৃতীয় ম্যাচ জিতে যায় সফরকারীরা। চতুর্থ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে এসে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে দারুণ ক্রিকেট খেলে ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় তারা।

আগের ম্যাচগুলোর শিক্ষা কাজে লাগিয়েই নিউজিল্যান্ডের এই সাফল্য বলে জানালেন ল্যাথাম, ‘সফরের এই পর্যায়ে এসে ভালোভাবে শেষ করে দারুণ লাগছে। একসঙ্গে যেভাবে আমরা সবাই সফল হলাম তাৃ (সন্তোষজনক)। আমরা সেরা পারফরম্যান্সের খুব কাছে ছিলাম, আগের ম্যাচগুলো থেকে সব শিক্ষা কাজে লাগিয়েছি। এটা ছিল দারুণ পিচ। ওপেনাররা যে ভিত গড়ে দিয়েছে তাতে করে মিডল অর্ডারের কাজটা সহজ হয়েছে। আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close