ক্রীড়া ডেস্ক
নিজেকেই দুষলেন সান্তোস
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর দিয়োগো জোতার গোলের মুহূর্তটুকু ছাড়া জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচজুড়ে খাবি খেয়েছে পর্তুগাল। টনি ক্রুস, ইলকাই গুন্দোয়ান, রবিন গোসেন্স, জোসুয়া কিমিচ- জার্মানির মাঝমাঠের এই চতুষ্টয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে ওঠেনি ব্রুনো ফার্নান্দেজের নেতৃত্বে গড়া পর্তুগালের মাঝমাঠ। ভুলে ভরা ছিল পর্তুগিজদের রক্ষণও। আর রোনালদো-জোতারা গোল পেলেও তাদের জুটিও সেভাবে আতঙ্ক ছড়াতে পারেনি জার্মানির রক্ষণে। সব মিলিয়ে পরশু রাতে জার্মানির বিপক্ষে ৪-২ গোলের পরাজয় বরণের ম্যাচে ব্যর্থই বলা চলে উয়েফা ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে। এই হারে সরাসরি শেষ ষোলোতে ওঠাটাই শঙ্কার মুখে পড়ে গেছে পর্তুগালের। এত কিছুর পরও খেলোয়াড়দের কোনো দোষ দেখছেন না দলটির কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। এমন একটা হারের সব দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন তিনি। তার কৌশলটা জার্মানির দুর্দান্ত খেলার কাছে হেরে গেছে বলেই মনে করেন সান্তোস।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ এরিনায় জার্মানির একের পর এক আক্রমণ দিয়ে শুরু ম্যাচে স্রোতের বিপরীতে ১৫ মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। সেটা রোনালদোর গোলেই। কিন্তু রুবেন দিয়াস ও রাফায়েল গেরেইরোর আত্মঘাতী গোলে প্রথমার্ধেই ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুটি গোল হজম করে তারা। তবে এই অর্ধে একটি গোল শোধ করেন জোতা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই হারের সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন সান্তোস, ‘আমি কৌশলে একটু পরিবর্তন এনেছিলাম। মাঝমাঠে ওদের খেলোয়াড়দের চাপ দিতে চেয়েছি। চেয়েছিলাম আমাদের ফুলব্যাকরা ওপরে উঠে আক্রমণে সাহায্য করুক।’ এর ফল কী হয়েছে সেটা সবাই দেখতে পেয়েছে। সান্তোস বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, মাঝমাঠে একজন খেলোয়াড়ের অভাব ছিল আমাদের। আসলে আমার কৌশল ভুল ছিল। সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী।’ কৌশলটা কেন কাজে লাগেনি সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সান্তোস, ‘প্রথমার্ধে ওরা শুধু দুটি ফাউলের শিকার হয়েছে। আমরা যদি ওদের থামাতে না পারি, বলের দখল নিতে না পারি; তাহলে তো ভুগতে হবেই।’
পর্তুগালকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন জার্মানির বাঁ দিকের উইঙ্গার রবিন গোসেন্স। এ ব্যাপারে সান্তোসের ভাষ্য, ‘আমার ছেলেদের ডান পাশটা কাভার করতে হতো। সেটা করতে না পারায় ওদের দোষ দিতে চাই না।’
মৃত্যুকূপ তকমা পাওয়া ‘এফ’ গ্রুপের অন্যতম হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ শেষে একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে পর্তুগাল। সব মিলিয়ে সরাসরি শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেওয়াটা শঙ্কায় পড়ে গেছে পর্তুগালের। সান্তোসের কথা, ‘আমরা পরের রাউন্ডে যেতে পারব কি না, সেটা আমাদের হাতেই আছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।’
"