ক্রীড়া প্রতিবেদক
সুযোগের অপেক্ষায় সাইফ-শরিফুল
পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি মিডল ও লেট-অর্ডারে ব্যাটিংটাও পারেন। তাই খুব অল্প সময়েই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে গেছেন। অনেক ম্যাচে তাকে ওপেনিং বোলার হিসেবেও দেখা গেছে। সাফল্যও পেয়েছেন বেশ।
কিন্তু ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে দেখা যায়নি তরুণ এই অলরাউন্ডারকে। মূলত ফিটনেসে খানিকটা ঘাটতি থাকায় তাকে খেলানো হয়নি। কিন্তু চট্টগ্রামে আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দলে ফিরবেন তো সাইফ? দ্বিতীয় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই কৌতূহলী প্রশ্ন ভক্ত-সমর্থকদের।
ভেতরের খবর, চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলছেন সাইফ। সম্ভবত রুবেল হোসেনের জায়গায় তাকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এখন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই যায়। সে ক্ষেত্রে সাইফের সঙ্গে ১৮ জনের স্কোয়াডে থাকা তরুণদের কাউকে কি খেলানো হবে শেষ ম্যাচে? জাতীয় দলের ক্যাপ না পরা পেসার শরিফুল ইসলাম আর অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানের কারো কি চট্টগ্রামে অভিষেকের সম্ভাবনা আছে?
নান্নুর ভাষ্য, ‘আমরা তো তরুণদের আগামীর জন্য তৈরি করার কথাই ভাবছি। সে চিন্তাতেই তাদের নেওয়া। তবে আমরা দল নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারব না, করতে চাইও না। কারণ, আমাদের প্রতিটি ম্যাচের ফল গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট চাই। আমাদের মাথায় সেটাও রাখতে হচ্ছে। কাজেই দল নিয়ে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ নেই।’
নান্নু কথায় স্পষ্ট ভক্ত-সমর্থক ও অন্যরা বাইরে থেকে যাই ভাবুন আর বলুন না কেন; কঠিন সত্যি হলো, এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচের পয়েন্টই গণনা করা হবে। তাই জয়টা খুব জরুরি। সে কারণেই দল নিয়ে বাড়তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সম্ভাবনা কম।
আর তাই ঢাকায় সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলেও চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে দলে খুব বেশি রদবদলের সম্ভাবনা নেই। তবে প্রধান নির্বাচক সাইফের মাঠে নামার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত করলেন, ‘সে এখন পুরোপুরি ফিট। তাই তাকে চট্টগ্রামে দেখা যাবে। সম্ভবত রুবেলের জায়গায় খেলানো হবে।’
এর বাইরে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদীর খেলার সম্ভাবনার কথা জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সেটা চট্টগ্রামে যাওয়ার পর অবস্থা দেখে বোঝা যাবে। তবে তিনি মিরাজের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। তাকে আমরা ৫০ ওভারের ফরম্যাটে কার্যকর বিবেচনা করেছিলাম। সে ক্লিক করেছে। সে মাত্রই ছন্দ ফিরে পেয়েছে। এ অবস্থায় তাকে পরের ম্যাচেই বাইরে রাখা কঠিন। তার পরও দেখি বাকি তরুণদের মধ্যে কাউকে খেলানো যায় কি না।’
প্রধান নির্বাচকের কথা শুনে মনে হলো এখন পর্যন্ত সিরিজে সুযোগ না পাওয়াদের মধ্যে শুধু সাইফই নিশ্চিত। তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদীর মধ্য থেকে বড়জোর একজনের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
"