ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৯ অক্টোবর, ২০২০

ইব্রার জোড়ায় ডার্বি এসি মিলানের

চার বছর পর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের বিপক্ষে জয়টা এসি মিলানের খেলোয়াড়দের মনে উৎসবের রং ছড়িয়ে দিয়েছে। পরশু রাতে সান সিরোতে গেটি ইমেজ

ফাঁকা মাঠেও ম্যাচ শেষে গোলবারের একপাশে গিয়ে লাফিয়ে উঠলেন এসি মিলান ফুটবলাররা। মাঠে ছিল হাজার খানেক সমর্থক উপস্থিত ছিল, তবে তাদের বেশির ভাগই ইন্টার সমর্থক। কিন্তু সান সিরোতে এমন রাতে ভরা গ্যালারির কথা মনে না পড়ে পারে না, সেই অভাবটা মিলান টের পেল ‘পূর্ণাঙ্গ’ উদ্যাপন করতে না পেরে। এমন রাত সাম্প্রতিক সময়ে কমই দেখেছে মিলান। ২০১৬ সালে সর্বশেষ মিলান ডার্বি জিতেছিল রোসোনেরিরা। এরপর থেকে লিগে একবারো ইন্টার মিলানকে হারাতে পারেনি তারা। চার বছরের অপেক্ষা পর এমন জয় তো দারুণ কিছ্ইু!

মিলানের দারুণ জয়ের রুপকার ইব্রাহিমোভিচ। ৩৯ বছর বয়সির জোড়া গোলে ইন্টারকে হারিয়েছে মিলান। সান সিরোতে দুই মিলানের জন্য ঘরের মাঠ। ওই এক মাঠেই দুই দল প্রতি মৌসুমে লিগের ম্যাচ খেলে। একটা অফিশিয়ালি হোম, অন্যটা অ্যাওয়ে। এই ম্যাচ ছিল ইন্টারের জন্য হোম। সে হিসেবে ঘরের মাঠে মিলান আসলে ইন্টারকে হারাল ১০ বছর পর! ২০১০ সালের ওই ম্যাচেও মিলানের জয়ের নায়ক ছিলেন ইব্রা। সেবার শেষ পর্যন্ত লিগ শিরোপাও জিতেছিল মিলান।

সিরি ‘আ’তে টানা চার জয়ে মিলান এখন উড়ছে। স্টিভেন পিওলির ছাড়া সিরি ‘আ’তে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নেই কারো। মিলান এবার লিগ জিততে পারবে কিনা সেটা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে ইব্রাহিমোভিচ এমন ফর্মে থাকলে সবই হয়তো সম্ভব! স্টেফানো পিওলির দল এই নিয়ে সর্বশেষ ২০ ম্যাচে অপরাজিত। টানা ২৪ ম্যাচে গোলও করেছে তারা। জানুয়ারিতে ইব্রাহিমোভিচ মিলানে ফেরার পর আক্ষরিক অর্থেই ভাগ্য বদলে গেছে তাদের। এবার ভাগ্য ফিরেছে মিলান ডার্বিতেও।

করোনা থেকে সেরে উঠে মিলান ডার্বিতে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টিটাও আদায় করে নিয়েছিলেন তিনিই। আলেক্সান্ডার কোলারাভ বক্সের ভেতর ঢুকে পরা ইব্রাহিমোভিচকে পেছন থেকে ফাউল করেছিলেন। স্পটকিক থেকে সামির হান্দানোভিচ অবশ্য ইব্রাহিমোভিচের প্রথম শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরতি শটে আর রক্ষা করতে পারেননি দলকে। ইব্রাহিমোভিচই হয়ে হেসেছেন তখন।

মিনিট পাঁচেক না গড়াতেই এরপর আরো একবার গোল করে বসেন ইব্রাহিমোভিচ। বাম দিক থেকে রাফায়েল লিয়াওর দারুণ ক্রস গোলের সামনে এসে পড়লে হাফ ভলিতে বল ইন্টারের জালে বল ঢুকিয়ে দেন তিনি। সাবেক খেলোয়াড়ের জোড়া গোলে মুহূর্তেই ম্যাচটাও হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যায় ইন্টারের।

প্রথমার্ধেই লুকাকু এক গোল শোধ করে দিয়ে দিশাহীন ইন্টারকে পথ দেখিয়েছিলেন। দুদলই এরপর প্রথমার্ধে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। তবে গোল আর পায়নি কেউ। অবশ্য লুকাকু এদিন আরেকটু নিখুঁত হতে পারলে হয়তো হারটা এড়াতেও পারত ইন্টার। বিরতির আগে কর্নার থেকে হেডে ফাঁকায় থেকেও বল বাইরে মেরেছিলেন লুকাকু।

দারুণ প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধটা অবশ্য হয়েছে পুরো বিপরীত। আক্রমণে তেমন ধারালো ছিল না দুদলের কেউই। টানা ৪ জয়ে সিরি ‘আ’র পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে এখন মিলান। ৪ ম্যাচ ৭ পয়েন্ট নিয়ে নেরাজ্জুরিরা আছে ৭ নম্বরে।

ইন্টার মিলান ১ - ২ এসি মিলান

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close