ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নতুন করে জৈব সুরক্ষিত বলয়

শ্রীলঙ্কা সফর আপাতত হচ্ছে না। পরশু বিকালে সেটি জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তারপরও জাতীয় দলের অনুশীলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সিরিজ না হলেও আগামী দুই সপ্তাহ বিদেশি কোচদের অধীনে চলবে আবাসিক স্কিল ক্যাম্প।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভেঙে পড়া জৈব সুরক্ষিত বলয় (বায়ো সিকিউর বাবল) নতুন করে গড়ে তোলা হবে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব। কবে খেলোয়াড়দের কোভিড-১৯ টেস্ট হবে বা কিভাবে আমরা তাদের বায়ো সিকিউর বাবলে রাখব, সেটি নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন আছে। যেহেতু সুরক্ষা বলয় ভাঙতে হয়েছে আমাদের। এখন নতুন করে বাবল তৈরি করতে হবে। কেননা অনুশীলন চলবে আর সেটা আবাসিক ব্যবস্থাতেই।’

লঙ্কা সফর সামনে রেখে ২৭ ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, সাপোর্ট স্টাফদের জন্য বলয় তৈরি করেছিল বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। ২০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরুর দিনই মুমিনুল-মুশফিকদের তোলা হয়েছিল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। সেখান থেকেই ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা রওনা হওয়ার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু সফর নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় সপ্তাহ পেরিয়ে সুরক্ষা বলয় ভেঙে ফেলে বিসিবি। অনুশীলন থেকে ক্রিকেটারদের তিন দিনের ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি হোটেল ছেড়ে বাসায় থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়।

ক্রিকেটাদের সেই ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। বিরতির মাঝেই সিরিজ ভেস্তে যাওয়া নিশ্চিত হলেও অনুশীলন চলবে সেটি জানিয়েছেন পাপন। প্রাথমিক দলে থাকা ২৭ ক্রিকেটার স্কিল ক্যাম্প শেষে নিজেদের মধ্যে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বলেও জানান বিসিবি বস। ঘরোয়া ক্রিকেট শুরুর সুখবরও দেন তিনি, ‘তাদের (মুশফিকদের) তো এখনো ১৫ দিনের ক্যাম্প বাকি আছে। এই অনুশীলনটা চলবে। এরপর খেলা হবে। তিনটি অনুশীলন ম্যাচ হবে তাদের মধ্যেই। এর মধ্যেই শুরু হবে যে টুর্নামেন্টটি আমরা করতে চাচ্ছি সেটা। এটা যে নামেই হোক। জাতীয় দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার নিয়ে যদি আমরা টুর্নামেন্ট করতে পারি তাহলে সেটি দিয়েই ক্রিকেট শুরু হবে। এটা খুব সম্ভবত এখন পর্যন্ত যা বুঝতে পারছি টি-টোয়েন্টিই হবে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের যে লিগ প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি, প্রিমিয়ার লিগ যা যা বাকি আছে সেগুলো শেষ করে ফেলা হবে। এটার প্রস্তুতির জন্যই একটু সময় নিচ্ছি। যেন খেলার মধ্যেই আমরা থাকি। খেলা চালু করা তো গুরুত্বপূর্ণ না, কথা হলো আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব কিভাবে? খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমি বলেছি ক্লাবগুলোকে ডাকতে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে এবং আমাদের একটা পরিকল্পনা দিতে। আমাদের কাছে যদি মনে হয় সেই পরিকল্পনা মোটামুটি সন্তোষজনক হয়, তাহলে আমরা দ্রুত খেলা চালু করে দিব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close