ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৪ এপ্রিল, ২০২০

‘আমি প্রায় মরেই গিয়েছিলাম’

করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠলেও শরীরটা এখনো দুর্বল মালদিনির

সপ্তাহখানেক হলো করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো মালদিনি। তবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলেও শরীর এখনো দুর্বল তার। জিমে সামান্য কাজ করতে গিয়ে মরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছিল! ফ্রান্সিসকো টট্টি, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো এবং হ্যাভিয়ার জেনেত্তির সঙ্গে স্কাই স্পোর্টসের লাইভে এসে এমনটাই বলেছেন মালদিনি।

ইতালিয়ান লিগে খেলা এই চার কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠান আয়োজন করে স্কাই স্পোর্টস। চারজনই ইতালির চারটি জায়ান্ট দলে খেলেছেন। দেল পিয়েরো ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়ে কাটিয়েছেন জুভেন্টাসে, জেনেত্তি ইন্টার মিলানে এবং টট্টি এএস রোমায়। তবে মালদিনি তার ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটিয়েছেন এসি মিলানে। চিরবৈরী দলের হয়ে খেললেও লাইভে করোনাভাইরাস থেকে সচেতনতার কথা একসঙ্গেই বললেন তারা।

একপর্যায়ে এসি মিলানে আবার কবে থেকে পূর্ণদমে কাজ করবেনÑ এমন প্রশ্নে নিজের শরীরের বর্তমান খবর জানিয়ে মালদিনি বলেন, ‘আবার শুরু করা বেশ কঠিন, আজ (পরশু) আমি জিমে কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম, ১০ মিনিটের মতো সময়ে মনে হচ্ছিল আমি প্রায় মরেই গিয়েছিলাম। আমার বয়স প্রায় ৫২ বছর হওয়ার কারণে কিন্তু এমনটা হয়নি, করোনা সত্যিই ভয়ংকর।’

গত ২১ মার্চ জানা যায়, মালদিনি ও তার ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এরপর থেকেই তাদের চিকিৎসা চলছিল হোম কোয়ারেন্টাইনে। ছেলে ড্যানিয়েল সপ্তাহ দুই আগেই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে মালদিনির সংবাদের অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। যদিও এক সপ্তাহ আগে তার সুস্থতার সংবাদ প্রকাশ করে ইতালিয়ান গণমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত। দৈনিকটিতে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংগ্রামের বিশদ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মালদিনি। সেখানে এই কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আমি এখন ভালো বোধ করছি। খারাপ দিকগুলো চলে গেছে। যদিও এখনো আমার কিছু খুশখুশে কাশি রয়ে গেছে। আমি আমার স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছি। আশা করি আমি শিগগির এগুলোও কাটিয়ে উঠব।’

কঠিন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে মালদিনি আরো বলেন, ‘এটা বাজে একটি জ্বরের মতো ছিল, মোটেও স্বাভাবিক জ্বর নয়। একজন অ্যাথলেট তার শরীর সম্পর্কে জানে, আমিও আমার শরীরকে চিনি। ব্যথা ছিল মারাত্মক আকারের এবং তারপর এটি আমার বুকে চেপে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। এটা নতুন ভাইরাস। শরীর এমন একজন শত্রুর সঙ্গে লড়াই করে যাকে সে চেনে না।’

শুরুর দিকের পরিস্থিতি ও করোনা থেকে মুক্তিতে নিজের চিকিৎসা পদ্ধতির কথাও জানান মালদিনি, ‘আমি প্রথম উপসর্গ টের পেয়েছিলাম ৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার। তখন শরীরের গাঁটে ও মাংসপেশিতে ব্যথা ছিল। তবে জ্বর কখনোই ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল না। পরের দিন শুক্রবার আমার মিলানেল্লোতে (এসি মিলানের অনুশীলন মাঠ) যাওয়ার কথা ছিল। তবে আমি ঘরেই থাকলাম। আমি আসলে অনেক কিছুই মিস করেছি। আমি কেবল মাত্র টচিপিরিন (এক ধরনের ওষুধ) দিয়ে আমার চিকিৎসা করেছি। আমি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করিনি, কারণ আমার কখনোই শ্বাসকষ্ট হয়নি।’

জুনিয়র-সিনিয়র মিলিয়ে প্রায় ৩২ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের পুরোটাই এসি মিলানে কাটিয়েছেন মালদিনি। অবসরের পর বর্তমানে রোজোনেরিদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার ১৮ বছর বয়সি ছেলে ড্যানিয়েল চলতি মৌসুমেই মিলানের মূল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close