অপু চৌধুরী
শেয়ালঘরে তালা
কালকে দুপুর বাঘের ফুফুর নাক ফোঁড়ানোর দিন
বিজলি বাতির আলোক ছটায় বন হবে রঙিন
খাবার হবে নাচন হবে গানও অফুরান
বন পশুদের চলবে আমোদ খুশিতে টান টান।
বাঘের বাবার ভাবনা, কাজের ভার দেওয়া যায় কাকে
বহুত ভেবে আনল ডেকে শেয়াল মামার মাকে
শেয়ালের মা কথা মতোই করল কাজের শুরু
নেমন্তন্নের পত্র দিতে হাঁটল বনের পুরু।
সকল পশুর সায় ছিল ঠিক কিন্তু ইঁদুর ছানার-
দাবি ছিল, রাঁধবে খাবার হাতের ছোঁয়ায় নানার
ইঁদুর ছানার দাবির মেনেই আয়োজন হয় শুরু
এলো সকল বন পশু আর এলো বনের গুরু।
বনগুরু খুব বদমেজাজি হালুম হালুম ডাকে
কাঁচা মাংসের ঘ্রাণ পেলে সে জিহ্বা চাটায় নাকে
বন গুরুর এই কার্যকলাপ কার না আছে জানা
রাগলে ভীষণ মারবে কামড়, ভাবছে ইঁদুরছানা।
এরই মধ্যে হই-হুল্লোড়ে চলছে আমোদ ম্যালা
রসাইঘরেও চলছে মজার ইঁদুর নানার খেলা
সকল ইঁদুর এক করে সে ভোজ করে নিঃশেষ
বন পশুদের নাচতে দিয়ে নিজেই নিরুদ্দেশ।
খাবারবিহীন বাঘবাড়িতে বাঁধলো ভীষণ রণ
শেয়াল মামা আটকে গেল কাঁদছে পুরো বন
প- হলো বাঘের ফুফুর নাক ফোঁড়ানোর পালা
আর শেয়ালের ঘর দরজায় ঝুলছে বিশাল তালা।
"