শাকিলা নাছরিন পাপিয়া
হেমন্ত রানির আগমন
কার্তিক আর অগ্রহায়ণ দুই ছেলেকে নিয়ে হেমন্ত রানি আসে গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে। তাকে দেখে আনন্দে হেসে ওঠে আউশ, আমনের ধান।
মাঠ জুড়ে তখন পাকা ধান কাটার উৎসব। সোনালি ধানে মনে হয় সোনা ছড়িয়ে আছে মাইলের পর মাইল। কার্তিক অগ্রহায়ণ দুভাই সোনালি ধানের খেত মুগ্ধ হয়ে দেখে। কৃষকরা নতুন ধান ওঠার আনন্দে গলা ছেড়ে গান ধরে।
এরপরই শুরু হয় নবান্ন উৎসব। ঘরে ঘরে নতুন চালের পিঠার মণ্ডম ঘ্রাণে মাতোয়ারা চারপাশ। পিঠা, পায়েসের ঘ্রাণে তখন মাতোয়ারা গ্রামের প্রতিটি ঘর। মানুষের মুখে আনন্দের হাসি।
হেমন্ত রানির ছেলেরা সেই নবান্ন উৎসবে যোগ দেয়। নতুন চালের পিঠা, পায়েস তাদের মুগ্ধ করে। আকাশে তখন সাদা সাদা তুলার মতো মেঘ। একটু একটু শীত শেষ রাতের দিকে। ছোট হয়ে আসে দিন। শীতের বুড়ির আগমনী বার্তা সবুজ ঘাসের ডগায়, গাছের পাতায়। হেমন্ত রানি ছেলেদের তাড়া দেয়। ফিরতে হবে সাত সমুদ্র, তেরো নদীর ওপারের দেশে।
"