আলমগীর কবির
মায়ের সব কথা শুনতে হয়
ছোট্ট ফড়িং। মিষ্টি ফড়িং। দুষ্টু ফড়িং। শুধু রঙিন দুটি ডানা নেই। তবু সে উড়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায় সারা বাড়ি।
মা-বাবার বড় আদুরে মেয়ে সে।
ফাহিমা আখতার আম্মু তাকে ফড়িং বলে ডাকে।
সে এবার ক্লাস থ্রিতে উঠেছে।
ফড়িং মায়ের হাতের বানানো আচার খেতে ভালোবাসে। তেঁতুলের আচার, বরইয়ের আচার বানিয়েছেন মা কয়েক দিন আগে।
ফড়িং সকালে আচার খায়, দুপুরে আচার খায়। রাতেও আচার খায়।
মা বলেন, ফড়িং আচার বেশি খেয়ো না, পেটে ব্যথা করবে।
মা যদি একটুখানি বকুনি দেয়, ফড়িং মুখ ভার করে বসে থাকে।
পরেরদিন স্কুুলে যাওয়ার সময়-
ফড়িং বলে মা আমার পেটব্যথা করছে।
ফড়িংয়ের অবস্থা দেখে মার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়।
মা বলেন, আচ্ছা আজ স্কুলে যেতে হবে না তোমায়। দেখলে তো মায়ের কথা তখন যদি শুনতে তাহলে আর এমন হতো না।
ফড়িং বলে মা আর ভুল হবে না। তোমার সব কথা শুনব। তবু মা তুমি আমাকে আর বকো না।
ফড়িংয়ের ছুটির দিন এলে অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখত।
মা বলতেন, এত টিভি দেখা ভালো নয়।
পড়াশোনার ক্ষতি হবে।
ফড়িংয়ের মা তাকে অন্যরকম খেলায় আগ্রহী করে তুলতে চেষ্টা করছেন ইদানীং। কারণ পড়ালেখার মাঝে খেলাধুলারও দরকার আছে। তবে সে খেলায় যেন নির্মল আনন্দ থাকে। সেটা বাবা-মায়ের খেয়াল রাখতে হবে।
ফড়িংয়ের মা কোনো দিন কাগজের উড়োজাহাজ বানিয়ে দেন ফড়িংকে।
কোনো দিন কাগজের নাও।
বাবা বানিয়ে দেন ঘুড়ি।
অনেকের বাবাই এখন আর
ঘুড়ি বানাতে পারেন না। কিন্তু ফড়িংয়ে বাবা নানা রঙের ঘুড়ি বানাতে পারেন। এসব নিয়ে ফড়িং ছুটির দিনে ফড়িংয়ের মতো উড়ে বেড়ায়!
ফড়িং এখন মায়ের সব কথা শুনে চলে। তার পরীক্ষার রেজাল্ট এখন বেশ ভালো।
সব মিলিয়ে ফড়িং কিন্তু ভালো আছে। ফড়িংয়ের মতো তোমরাও ভালো থেকো।
"