দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

অতিথি পাখির কলকাকলি

‘হিম হিম শীত শীত, শীত বুড়ি এলো রে, কনকনে ঠাণ্ডায় দম বুঝি গেল রে’- কবির অনুপম সুরের ব্যঞ্জনার মতো শীতের গাত্র নিংড়ানো সিক্ততায় চিরসবুজ বাংলার খাল বিল হাওরে ছুটে আসে পরিযায়ী মেহমান। অতিথি পাখি। তাদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ, জলকেলি আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে ওঠে বাংলার লাল-সাদা শাপলার শোভা নিসর্গমণ্ডিত জলাশয়গুলো। অতিথিদের পদচারণে অনন্য যৌবনা বাংলার সৌন্দর্য আরো বহু গুণে বেড়ে যায়।

প্রতি বছর হিমালয়ের উত্তরের দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে প্রচুর তুষারপাতের কারণে অতিথি পাখিরা লাল সবুজে মোড়া, ব-দ্বীপ আকৃতির রূপসী বাংলার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীত চলে গেলে চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়। অতিথিদের মধ্যে বেশির ভাগই হাঁসজাতীয় পাখি। এর মধ্যে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, কোম্বডাক ও পাতারি অন্যতম। এ ছাড়া অন্য প্রজাতির পাখির মধ্যে মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি উল্লেখযোগ্য। অতিথি পাখির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতিসহ বিলুপ্ত প্রজাতির পাখিরও দেখা মেলে এখানে। জলময়ুর, ডুবুরি, খোঁপা ডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি প্রভৃতি।

শহরের যান্ত্রিকতা আর ধুলাবালিমুক্ত প্রকৃতি ও পাখির ছোঁয়া পেতে বাংলার লেকগুলোর পাড়ে শত-শত পাখিপ্রেমীর ভিড় জমে। ছোট-বড় আধভাঙা উঁচু ঢিবি আর জলাশয়ের পাড়ে পাখিরা ঝাঁক বেঁধে উড়ে সাঁই সাঁই করে। পরক্ষণেই ঝপাৎ করে বসে যায় জলাধারে। কোনটি আবার সাঁতার কাটে আপন মনে। অতিথি পাখিদের দল বেঁধে উড়ে বেড়ানোর মনোহরা সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে মোটেই বোঝা যাবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close