জীবন যারা করল জয়
অদম্য ইচ্ছাই একজন মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। যদি নিষ্ঠা ও সততা থাকে তাহলে কোনো বাধা-বিপত্তিই তার গতি রোধ করতে পারে না। বিচ্যুত করতে পারে না লক্ষ্য থেকে। এটাই সৃষ্টির ধর্ম। মনে রাখতে হবে, সৃষ্টিশীল একজন মানুষ শুধু যে নিজেকেই এগিয়ে নেন তা নয়, তার সৃষ্টির মিছিলে থাকে হাজার মানুষ। যারা কোনো না কোনোভাবে হন সেই অফুরান সৃষ্টির গর্বিত অংশীদার। এমন সৃষ্টিশীল কয়েকজন মানুষকে নিয়ে এবারের জয়িতার আয়োজন। আজ থাকছে দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। তাদের নিয়ে লিখেছেন সিনিয়র সাংবাদিক গাজী শাহনেওয়াজ
সোনিয়া সরদার
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সোনিয়া সরদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ছোটবেলায় ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবে। কারণ তার পিতা ছিলেন বরিশাল সরকারি মেডিকেল কলেজের পরিচালক। সম্মানীয় এই পেশায় তার পিতা তাকে দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বড় হয়ে সোনিয়া সরদার চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হবেন। দুর্ভাগ্যক্রমে যেটা হলো, সরকারি মেডিকেল পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসক হবেন পরিবার থেকে সে ধরনের সমর্থন পায়নি। আর সেখানেই তার পিতার স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রাচ্যোর অক্সফোডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।
সোনিয়া সরদার বলেন, এখানে ভর্তির পর যখন ক্লাস শুরু হলো আমার মনে হলো আমি বিশাল এক জগতের মধ্যে প্রবেশ করেছি। এর মধ্যে ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত না হওয়ার দুংখ ভুলতে শুরু করলাম। কারণ এখানে যাদের বন্ধু হিসেবে পেয়েছি, পড়ায় বা রেজাল্ট কতটুকু কী করতে পেরেছি জানি না। তবে, বন্ধুত্বের একটা বিশাল পরিবার পেয়েছি। ওদের সাপোর্ট-সহযোগিতা, ওদের চিন্তাভাবনা সবকিছুই আমাকে উৎসাহিত করত। তাদের কথা কোনো দিনও ভোলা সম্ভব নয়।
অল্পবয়সে আমার বিবাহ হয়ে যায়। জীবনসঙ্গী ব্যাংকার। দুই সন্তানের জননী আমি। মেয়েটা ভিকারুন নিসায় কলেজ এবং ছেলেটা উদয়নে অধ্যয়নরত। জীবনে আরেকটি মিরাকেল, দুই সহোদর একই ইয়ারে ঢাবির ল’ বিভাগে ভর্তি হই।
আমার ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল সে ব্যারিস্টার হবে। তবে আমার স্বপ্ন ছিল ভিন্ন, যা আগেই বলেছি। কারণ ভর্তির পর প্রথমে কিছুই ভালো লাগত না। কারণ আমার শিক্ষাজীবন ছিল বিজ্ঞান বিভাগে। কিন্তু পড়তে পড়তে একপর্যায়ে ভালো লাগা তৈরি হয়। তবে সেটি এনজয় করার মতো ছিল না।
বিয়ের পর জীবনটা একটা সংগ্রামের মধ্যে পড়ে যায়। কারণ প্রথম সন্তান যখন আমার গর্ভে ওই সময়ে অনার্স পরীক্ষা দিই। দ্বিতীয় সন্তানও শিক্ষাজীবনের মধ্যে কেটেছে। এর মধ্যে স্বামী-সন্তান সবমিলিয়ে দীর্ঘদিন আমার একটা গ্যাপ ছিল।
আমার বন্ধু বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সাঈদা রনি আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা জোগাত। ঢাবিতে পড়ে বাসায় হাউসওয়াইফ হয়ে বসে আছি। যখন-তখন রনি আমার বাসায় চলে আসত। অন্য বন্ধুরাও উৎসাহ জোগাত। সর্বোপরি আমার ভাই যখন ব্যারিস্টারি কমপ্লিট করে দেশে ফিরল, তখনই ধীরে ধীরে কোর্টে ফেরা শুরু হয়। আমি সিনিয়র আইনজীবী নাহিদ মাহতাবের জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করি। তার সিনিয়র ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম স্যার। প্রাণবন্ত একজন সিনিয়রের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। কাজকে ভালোবেসে সামনে যাওয়ার অনুপ্রেরণা নাহিদ ম্যামের কাছ থেকে পেয়েছি।
আইনজীবী পেশাটা চ্যালেঞ্জিং। আর মেয়েদের জন্য আরো বড় চ্যালেঞ্জ। আইন অনুষদে পাস করা ১১০ জন বন্ধুর মধ্যে আইন পেশায় যুক্ত আছি মাত্র তিনজন। সংখ্যা বেশি হলে আমার ক্ষেত্রটা আরো বিস্তৃত হতো। মেয়ে হয়ে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে মানিয়ে চলা কঠিন। তবে এই কঠিন কাজটি চেষ্টা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জন করেছি। কারণ শুধু কোর্ট চত্বর নয়; মেয়েদের জন্য সব ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জিং।
সাঈদা সুলতানা রনি
অতিরিক্ত পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০৬ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছিলেন সাঈদা সুলতানা রনি। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে শিক্ষাজীবন পার করেছেন। স্বপ্ন ছিল একজন বড় মাপের আইনজীবী হবেন। তাই মেধাতালিকায় ওপরের দিকে থাকার পরও নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু নিয়তির লেখা, আইনজীবীর পরিবর্তে হয়ে গেলেন ব্যাংকার। এই পেশায় আশার আগে অবশ্য খণ্ডকালীন কিছু সময় আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সাঈদা সুলতানা রনি বলেন, কিন্তু মানুষের স্বপ্ন ও ইচ্ছা সব সময় একসঙ্গে মেলানো যায় না; যেটা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। প্রতিটি বিভাগেই লিগ্যাল সাইট আছে। তাই এখানে কাজ করতে খুব একটা অসুবিধা পোহাতে হয়নি। আমি ব্যাংকের লিগ্যাল বিভাগে, এসিপি বিভাগে কাজ করেছি। বর্তমানে অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত আছি। এ পর্যন্ত আসার পেছনে আমার পরিবার সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে আমার বড় ভাই লন্ডনে যান। আমার ইচ্ছা ছিল তার পথ অনুসরণ করব। কিন্তু আমি এখন ব্যাংকার হয়ে কর্মজীবন পার করছি। কারণ মানুষের সব ইচ্ছা পূর্ণ হয় না। এটাও আমার একটা অতৃপ্তির জায়গা। তবে ব্যাংকে চাকরি করি- এটা ছিল আমার বাবার ইচ্ছা। তার ইচ্ছাটাই পূরণ করতে পেরেছি এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।
একটা মেয়ের শিক্ষাজীবন থেকে চাকরি সর্বক্ষেত্রে সাফল্যের দ্বারে পৌঁছাতে অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়। কারণ আমি লাকি; ওই চ্যালেঞ্জিং ধাপগুলো পেরোতে হয়নি। ঢাবিতে পরীক্ষায় যেমন সাফল্য দেখিয়েছিলাম; এখানেই যোগ্যতার মাধ্যমে এসেছি। তবে, চাকরি করতে গিয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। কারণ আমি ব্যাংকিং ব্যাকগ্রাউন্ডের না। এ কারণে প্রথমে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা ফেস করতে হয়েছে। সেটা ওভারকাম করেছি, দৃঢ়তা ও চেষ্টার মাধ্যমে। নিজেকে খাপ-খাইয়ে নিতে ব্যাংকিংয়ের ওপরে ডিপ্লোমা করেছি। বিবির অর্থায়নে অর্থনীতেও পড়ালেখা করেছি। এ বিষয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং ও পলিসি পদ্ধতিটা জানা থাকার জন্য আমার অর্থনীতির বিষয়টি জানার আগ্রহ থেকে ওই বিভাগে পড়েছি। এই পদ্ধিতির ওপরেই নির্ভর করে একটা দেশের অর্থনীতি।
সর্বোপরি আমি যেহেতু নারী তাই পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র দুই জায়গায় সমন্বয় ও তাল মিলিয়ে সমানভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। এর ফলে চাকরি জীবনে ক্যারিয়ারিস্ট হওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে যায়। তবে এটা যোগ্যতার কারণে নয়, সামাজিক রীতি ও পাারিপার্শ্বিকতার কারণে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যারা একত্রে যোগদান করেছিলাম, তাদের মধ্যে পুরুষ সহকর্মীরা বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেখানে আমরা পিছিয়ে রয়েছি শুধু ঘর-অফিস দুটি একত্রে পরিচালনা করার জন্য। এটাই কর্মক্ষেত্রে নারীর বাধা। তবে ওরা এবং আমরা যখন বিবিতে আসি তখন মেধা ও যোগ্যতা বলা যায় প্রায় কাছাকাছি। পারিবারিক প্রতিকূলতার মধ্যেও কর্মে যাতে পিছিয়ে না থাকি সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি।
তবে পুরুষরা সবকিছুই বাদ দিয়েই তাদের ক্যারিয়ারটাকে বড় করে দেখে। নারী-পুরুষের মধ্যে এখানেই বড় তফাত। পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগে নারীরা বর্তমানে অনেক এগিয়ে আছে ঠিকই। কিন্তু ক্যারিয়ারের জায়গাটাতে নারীরা একটু পিছিয়ে আছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এর পরও বলব, সব ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরাও চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো এখানে এসেছি। আমরা নারীরা একসময় অনেক পিছিয়ে ছিলাম। প্রাইমারিতে নারীর কর্মসংস্থান করতে এসএসসি পাস নির্ধারণ করেছি। বর্তমানে সেখানেও পরিবর্তন এনেছে। কারণ নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটাও বড় সাফল্য। কারণ নারী-পুরুষ এখন সমতায় এসে পৌঁছেছে। আমরা শুধু নারীদের জন্য না; নারী-পুরুষ একসঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যও নারী-পুরুষ দুপক্ষই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মাহ্ফুজা লিজা (এসপি)
বিপিএম, এসএস, ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ
মাহ্ফুজা লিজা বিপিএম, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে কর্মরত থাকাকালে সহিংস উগ্রবাদণ্ডসংশ্লিষ্ট গবেষণা ও তথ্যবিশ্লেষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ৮৫ জন নারীর জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে নারীদের উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধান ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে তাদের করণীয়বিষয়ক একটি স্টাডির ফলাফল জাতীয় পর্যায়ের একাধিক কনফারেন্সে উপস্থাপন করেছেন, যা সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, গবেষক, ডোনার এজেন্সির প্রতিনিধিসহ অ্যাকাডেমিসিয়ান ও মিডিয়ার কাছে প্রশংসিত হয়েছে, তিনি তার কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশাজীবী ফোরামে পুলিশের পেশাদারিত্ব কার্যকরভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
উগ্রবাদ মোকাবিলায় তিনি সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, উগ্রবাদীদের প্রোফাইল তৈরি, মামলাসমূহ ও উগ্রবাদবিরোধী অভিযান-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও কার্যকরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, ইসলামিক স্কলার, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, সিভিল সোসাইটির সদস্যদের অংশগ্রহণে উগ্রবাদবিষয়ক সভা-সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজন ও আলোচনার মাধ্যমে উগ্রবাদবিরোধী কর্মকৌশল তৈরিতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং এ ভূমিকার কারণে ২০১৯ সালের উইমেন পুলিশ অ্যাওয়াার্ড) এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ মেডাল অর্জন করেন।
এ ছাড়া নারী ও শিশুদের মধ্যে সাইবারক্রাইমের ঝুঁকি ও এ-সংক্রান্তে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা সেমিনারে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ, ইউনিসেফ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কসহ নারীদের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক নেটওয়ার্কসমূহে তিনি সাইবারক্রাইম থেকে নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখার উপায়সমূহ উপস্থাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, তিনি স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, নেদারল্যান্ডসের লেইডেন ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি থেকে টেররিজম এবং ট্রানজিশনাল জাস্টিস বিষয়ে মাস্টার্সসহ বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসের আওতায় তিনি কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, ব্রিসবেনে অনলাইন মাধ্যমে উগ্রবাদ প্রতিরোধে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত ও দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করার ফলে ২০১৯ সালে ‘Australia Awards South and West Asia’ কর্তৃক ‘Australia Awards Hero’ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। একজন সফল অ্যালামনাই হিসেবে কর্মক্ষেত্রে অর্জিত তার সাফল্য Australia Awards -এর বিভিন্ন প্রকাশনায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তিনি জানুয়ারি, ২০২০ সালে Colombo, Sri Lankaq রিজিওনাল ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়ে কান্ট্রি লেভেল কম্পিটিশনে প্রম স্থান অধিকার করেন।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তার অনেক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া International Association of Women Police ম্যাগাজিনের এপ্রিল ২০২১ সংখ্যায় তিনি Fighting Cybercrime in Bangladesh নামক প্রবন্ধে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনায় বাংলাদেশ পুলিশের একটি উত্তম চর্চাকে অন্যান্য দেশের পুলিশ বিভাগের কাছে তুলে ধরেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ ও সিটিটিসির যৌথ উদ্যোগে ধর্মীয় উগ্রবাদবিষয়ক দুটি গবেষণায় একজন হিসেবে কাজ করেছেন। কর্মজীবনে সততা ও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পালন করে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার কর্মের পরিধি ও গুরুত্ব বিবেচনায় তার কার্যক্রমের তথ্যসমূহ ডকুমেন্টারিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
"