জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষসেরা সক্রিয় সাংবাদিক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মোছা. জান্নাতী বেগম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে ১৮ ডিসেম্বর ‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার শেষে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এবং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ ৭ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি জান্নাতীর হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতী বেগম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে ক্যাম্পাসে সক্রিয়ভাবে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তিনি দৈনিক স্বাধীন বাংলা ও বাণিজ্য প্রতিদিন পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল কনফারেন্স রুমে ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন সাইদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় সেমিনারটি। সেমিনারে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ১৭টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে তাদের নিজেদের আইডিয়া শেয়ার করেছেন। জান্নাতীর পাশাপাশি বর্ষসেরা সাংবাদিক হিসেবে দৈনিক আজকের পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ, বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে জাগো পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আহসান হাবীব, বর্ষসেরা উদীয়মান সাংবাদিক হিসেবে দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন ও বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি কামরুল হাসান এবং বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে এস এম মুসতাহিদ প্লাবন পুরস্কার পেয়েছেন। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ছয়জনকে সাংবাদিককে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বর্ষসেরা সক্রিয় সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে মোছা. জান্নাতী বেগম বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আর চ্যালেঞ্জ বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বা কিছু অনিয়ম নিয়ে লিখলে বাধার সম্মুখীন হতে হবে এটাই স্বাভাবিক। এই বাধা ও অসহযোগিতাই ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর গড়ে ওঠার সময়। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করে জীবনটাকে আলাদাভাবে উপভোগ করা যায়। আর এর মধ্য দিয়েই সবার সঙ্গে মেলামেশা করা, অন্যকে বোঝানো এবং নতুন বিষয় জানা যায়। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা উপভোগ করা যায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এমন একটি সংগঠন যেখান থেকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা উপভোগ করা যায়।’ এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, অগ্নিবীণা হল প্রাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক কল্যানাংশু নাহা, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চন্দন কুমার পাল, আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান নিউটন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জুয়েল মোল্যা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক কাউন্সিলিং

সাইকোলজিস্ট মোছা. আদিবা আক্তার, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ১৭টি ক্রিয়াশীল সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া সাংবাদিক, সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সেমিনারে অংশগ্রহণ করা ১৭টি সংগঠনের মধ্যে বিচারকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি বেস্ট আইডিয়া দাতা সংগঠনকেও পুরস্কৃত করা হয়। সেমিনারে বিচারক হিসেবে ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া। বেস্ট আইডিয়া প্রদানকারী তিনটি সংগঠন হল গ্রিন ক্যাম্পাস, নির্ভয় ফাউন্ডেশন, মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস।

"