reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১০ আগস্ট, ২০২১

অর্থনীতিতে নারী উদ্যোক্তাদের অবদান

রুবিনা এখন উদ্যোক্তা তৈরি করছেন

হাঁস-মুরগি, মাছ আর কৃষি উদ্যান তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন নাটোরের শিক্ষিত ও মার্জিত নারী উদ্যোক্তা রুবিনা। মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের সফলতায় তার মিলেছে একাধিক স্বীকৃতি। রুবিনা এখন নারী উদ্যোক্তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছেন। অভাব-অনটনের সংসারে বাবার মৃত্যু আর বিয়ের পর নিজের সংসার ভেঙে গেলেও ভেঙে পড়েননি রুবাইয়া রহমান রুবিনা। নাটোর সদরের চাঁদপুর গ্রামে বাবার অবর্তমানে মা আর ছোট ভাইবোনের সংসারের হাল ধরেন রুবিনা। সেলাই করে সংগৃহীত অর্থ এবং অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের ঋণে বাড়ির আঙিনায় শুরু করেন ৫০০ বাচ্চা নিয়ে ব্রয়লার মুরগির খামার। সেখানেও দুর্ভাগ্য। মুরগি বিক্রি করে মিলেছে লোকসান। কিন্তু হার মানার পাত্রী নন রুবিনা। তার ভাষায়, ব্যবসায়ের লোকসানের মধ্যে লুকিয়ে থাকে মুনাফা। নতুন উদ্যোমে শুরু করেন খামারের কার্যক্রম। শুধু মুরগির খামারই নয়, বাড়িসংলগ্ন নিজেদের পুকুরে শুরু করেন মাছ চাষ, সঙ্গে ৩০০ হাঁসের সমন্বয়ে খামার। অসুস্থতা নিয়েও অফুরান জীবনীশক্তির অধিকারী রুবিনা। প্রায় একই সঙ্গে মাছ আর হাঁস-মুরগির খামারের পাশাপাশি কৃষিও শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে জমি ইজারা নিয়ে ফলের ছয়টি বাগান তৈরি করেছেন রুবিনা। এসব বাগানে ফলছে আম, লেবু, পেয়ারা, কলা, কুল আর পেঁপে; রয়েছে মরিচ। আমের তালিকায় আছে অপ্রচলিত ও আদরনীয় গৌরমতি, ব্যানানা ম্যাঙ্গোর মতো আম। নাটোর হর্টিকালচার সেন্টার ড্রাগন ফলের ৪০টি খুঁটিতে ১২০টি ড্রাগনের প্রদর্শনী খামার স্থাপন করে দিয়েছে রুবিনাকে। ফুল আসা ড্রাগনের বাগানে চলতি বছরই ফল পাওয়া যাবে। ড্রাগনের বাগানে সাথী ফসল হিসেবে রুবিনা চাষ করেছেন মৌসুমি সবজি। সব উপকরণের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে রুবিনা প্রমাণ করেছেন, কোনো কিছুই অপ্রয়োজনীয় নয়। মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে তৈরি করছেন উৎকৃষ্ট জৈব সার-রিং কম্পোস্ট; প্রতি মাসে যার বিক্রয়মূল্য অন্তত তিন হাজার টাকা। পাশেই উৎপাদন করছেন আরো একটি জৈব সার ভার্মি কম্পোস্ট। বাড়ির শোভা বাড়িয়ে রেখেছে একঝাঁক কবুতর। এর বাণিজ্যিক মূল্যও কম নয়। রুবিনার কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close