reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ জুন, ২০২১

সাড়া জাগানো নারী ক্রীড়াবিদ

নারীদের জয়যাত্রা পৌঁছেছে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে। সাফল্যের জোয়ার বইছে সব ক্ষেত্রে। মহাকাশ, আকাশ থেকে শুরু করে এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায় বিজয়ের পদচিহ্ন এঁকে চলেছেন বাংলাদেশের নারীরা। রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু হয়ে ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য আর অগ্রযাত্রায় বিশ্বকে জয় করে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের অপরাজিতারা। এমন কয়েকজন নিয়ে জয়িতার আজকের আয়োজন

রাণী হামিদ

মহিলা ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের সুপারস্টার রাণী হামিদ। ২১ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও সাফল্য ধরে রাখছেন। দাবার রানির খেতাব পেয়েছেন আগেই। স্বামী আবদুল হামিদ ছিলেন প্রখ্যাত ক্রীড়া সংগঠক। বড় ছেলে কায়সার হামিদ ছিলেন দেশের তারকা ফুটবলার। সোহেল হামিদ স্কোয়াশে বেশ কবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। পুরো পরিবারই খেলাধুলায় জড়িত।

জোবেরা রহমান লিনু

১৯৭৩ সালে মাত্র ৯ বছরেই জোবেরা রহমান লিনুর টেবিল টেনিসে আগমন। বড় বোন মুনিরা মোর্শেদ হেলেন দেশের প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। এ থেকেই টিটির প্রতি তার আগ্রহটা বেড়ে যায়। ১৯৭৭ সালে জাতীয় আসরে সেরা হওয়ার পর লিনুকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। নাম লেখান গ্রিনিচ বুকে। সাফল্যের জন্য ১৯৯৯ সালে জাতীয় পুরস্কারও পান লিনু।

সালমা খাতুন

১৯৮১ সালেই বাংলাদেশের মেয়েরা ক্রিকেট শুরু করেছিল। কিন্তু হাস্যকর পারফরম্যান্স দেখে মেয়েদের খেলা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এ নারীরাই ক্রিকেটে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে, তা কি কেউ ভেবেছিল? সাকিবরা যেখানে পারেননি। সেখানে এশিয়া কাপে স্বপ্নের শিরোপা জিতেন নারীরা। আর এ সাফল্যের পেছনে সালমার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সাবরিনা সুলতানা

শুটিংয়ে বাংলাদেশের নারী বিভাগে সবচেয়ে সফল সাবরিনা সুলতানা। দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোনাসহ অসংখ্য পদক জিতেছেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকেই জাতীয় পর্যায়ে শুটিংয়ে অভিষেক সাবরিনার। এরপর একের পর এক সাফল্য। চারবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনি। ১৯৯৭ সালে কমনওয়েলথ শুটিংয়ে সোনা জিতে চমক দেখান সাবরিনা। সাফ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ও সাফ গেমসে দুবার সোনা জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার।

মাবিয়া আক্তার সীমান্ত

ক্রীড়াঙ্গনে তার কোনো পরিচিতিই ছিল না। অথচ অল্প দিনেই দেশ তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ায় আলোড়ন তোলেন

মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। ভারোত্তোলনে বাংলাদেশের পদক পাওয়াটাই ছিল কষ্টকর। সেখানে মাবিয়া সাউথ এশিয়ান (এসএ গেমসে) প্রতিযোগিতায় টানা দুবার সোনা জেতে ইতিহাস গড়েন। সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একটি ফ্ল্যাটও উপহার দেন।

সাবিনা খাতুন

বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে লাথি মারবেন, তা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। সেই মেয়েরা দেশকে ট্রফি উপহার দিচ্ছেন। অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে শিরোপা, মূল সাফে রানার্স-আপ আর এএফসি কাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলা সবই বাংলাদেশের গর্ব। আর এখানে নাম উচ্চারিত হবে সাবিনা খাতুনের। গোলমেশিন বলা হয় তাকে। অল্প বয়সেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যান তিনি। দেশের বাইরে ভারত ও মালদ্বীপে লিগ খেলার কৃতিত্ব রয়েছে তার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close