জীবনযাপন ডেস্ক

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে যেসব ব্যায়ামে

আমাদের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব রাখে হার্ট। এই অঙ্গটি দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তবে আমাদের জীবনধারা হার্টের গভীরে প্রভাব ফেলে। বর্তমানে খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে হৃদরোগ বাড়ছে। তাই হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তবে এ সমস্যা সমাধান করতে পারে যোগব্যায়াম। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শারীরিক ও মানসিক সুবিধার জন্য ভারতে শত শত বছর ধরে যোগব্যায়াম করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করা আপনার হার্টসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করে। আজকের প্রতিবেদনে এমন কিছু যোগাসন সম্বন্ধে জানবেন, যা আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে যোগব্যায়াম হার্টকে উন্নত করে-

রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে : যোগব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এটি হার্টে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল কমায় : উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের আরেকটি ঝুঁকির কারণ। যোগব্যায়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে : অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

মানসিক চাপ কমায় : মানসিক চাপ হৃদরোগের একটি বড় কারণ। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।

হার্ট সুস্থ রাখতে কিছু কার্যকর যোগাসন সম্বন্ধে জানুন-

মৎসাসন : পদ্মাসন করে দুটি কনুইয়ের সাহায্যে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটি মাথার দুই পাশে মাটিতে রেখে তার ওপর ভর দিয়ে পিঠটাকে মাটি থেকে তুলুন। ঘাড় হেলিয়ে দিয়ে মাথার তালু মাটির ওপর রাখুন। এবার দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল ধরে টানুন আর বুক উঁচু করুন। কনুই মাটিতে লাগান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মনে মনে ১০ থেকে ক্রমে বাড়িয়ে ৩০ গুনুন। এরপর হাত মাথার পাশে এনে পিঠ আলগা ও মাথা সোজা করে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এরূপ তিনবার করুন। এই আসনটি রক্ত সঞ্চালনকে উৎসাহিত করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।

ধনুরাসন : এর জন্য উপুড় হয়ে শুয়ে পা দুটি হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে গোড়ালি দুটি জোড়াভাবে নিতম্বের কাছে আনুন। এবার দুই হাত দিয়ে পায়ের গোছা দুটি বেশ শক্ত করে ধরে বুক এবং ঊরু মাটি থেকে ওপরের দিকে টেনে তুলুন। তলপেট মাটিতে ঠেকে থাকবে। দৃষ্টি সামনে ও ঘাড় পেছন দিকে হেলে থাকবে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমে বাড়িয়ে ৩০ গুনে তিনবার অভ্যাস করুন। প্রতিবারের পর উপুড় হয়ে শুয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই আসনটি মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

ভুজঙ্গাসন : এই আসন করতে উপুড় হয়ে শুয়ে হাতের তালু দুটি বুকের দুই পাশে মাটিতে এমনভাবে রাখুন যে আঙুলের ডগাগুলি কাঁধের বরাবর থাকে। হাতের কনুই গায়ের সঙ্গে লেগে থাকবে। পা দুটি জোড়া ও পায়ের পাতা পেতে থাকবে। এবার কোমরের ওপর জোর দিয়ে নাভি থেকে শরীরের উপরিভাগ মাটি থেকে তুলুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই অবস্থায় মনে মনে দশ থেকে ক্রমে বাড়িয়ে তিরিশ গোনার পর উপুড় হয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এরূপ তিনবার। এই আসনটি মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

উষ্ট্রাসন : প্রথমে হাঁটু গেড়ে বসুন। পেছন দিকে হেলে দুই হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরে মাথা পেছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে পেট সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুল ডান গোড়ালির ভেতর দিকে ও অন্য আঙুলগুলো বাইরের দিকে থাকবে। বাঁ হাত ও বাঁ গোড়ালির ওপর অনুরূপভাবে থাকবে। পায়ের পাতা মাটিতে পাতা থাকবে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমেই বাড়িয়ে তিরিশ গোনার পর শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে। এরূপ তিনবার। এই আসনটি মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close