জীবনযাপন ডেস্ক

  ২৮ মে, ২০২২

রোদ-বৃষ্টিতে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

কালবৈশাখী নিয়ে বাঙালির রোমান্টিকতার শেষ নেই। অথচ প্রকৃতি কিন্তু মোটেই সেসবের তোয়াক্কা করছে না। প্রায় রোজই বিকালের দিকে ঝড়-বৃষ্টি এলেও দিনের বেলায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। ফলে একদিকে ঠান্ডা-গরমের তারতম্য, অন্যদিকে প্রবল আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় শরীরের সুস্থতা রক্ষা করতে বাড়তি উদ্যোগ প্রয়োজন।

এ সময় বৃষ্টির জল যত কম গায়ে লাগানো যায় ততই ভালো, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে- ছাতা সঙ্গে রাখার চেষ্টা করতে হবে সব সময়, এতে রোদ আর বৃষ্টি দুই-ই আটকাবে। কোনোভাবে শরীর ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলতে হবে পোশাক। মাথা ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মুছে নিতে হবে।

শুধু বৃষ্টির জলই নয়, এ সময় হরেক রকমের রোগজীবাণুরও প্রকোপ শুরু হয়। তাই এ ধরনের রোগজীবাণু থেকে বাঁচতে প্রথম দাওয়াই হচ্ছে ‘পরিচ্ছন্নতা’। নিয়মিত হাত-পা ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার কথা বলছেন তারা। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ‘শিশুরা খেলাধুলা করবেই। কিন্তু অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে, যেন তারা নোংরা জল-ময়লা না ঘাঁটে।’ তাদের মতে, খুদেদের জামা-কাপড় ও হাত নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের রোগব্যাধির মোকাবিলা করতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই এ সময় পর্যাপ্ত জল পান করার পরামর্শ চিকিৎকদের। যাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে নিয়মিত, তাদের উদ্দেশে তাদের বার্তা, ‘বাইরের কাটা ফল, শরবত এড়িয়ে চলাই ভালো।’ প্রয়োজনে দুই বোতল পানি নিতে হবে সঙ্গে। একটি বোতলে সাধারণ জল ও অন্য বোতলে নুন-চিনি মেশানো জল নেওয়া যেতে পারে। নিয়মিত পানি পান করার পাশাপাশি জোর করে প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না বলেও মত চিকিৎসকদের। এ সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা পেটের গোলযোগের মতো সমস্যা দেখা দিলে, রোগ নিয়ে বসে না থেকে বা নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close