জীবনযাপন ডেস্ক

  ১৬ এপ্রিল, ২০২২

রোজা রাখায় কমবে ওজন

চলছে রমজান মাস। সারা দিন রোজা রাখার পর সবাই অপেক্ষা করে থাকেন ইফতারের মুখরোচক খাবারের জন্য। এ সময় অজান্তেই অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদদের মতে, ইফতারের সময় ভাজাভুজি, তেল-মসলাদার কিংবা ফ্যাটজাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এই অভ্যাসের কারণে রমজানের পর অনেকেই ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। তবে রোজা রাখার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব!

রোজা রাখার সময় যে বিষয়গুলো মেনে চললে ওজন বাড়বে না-

পরিমিত চিনি খাওয়ার অভ্যাস : রমজান মানেই বাড়িতে মিষ্টিজাতীয় হরেক পদ তৈরি হবেই। সারা দিন উপোস করে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ইফতারের সময় মিষ্টি খেলে শরীর চাঙা হয়ে ওঠে, কর্মদক্ষতা বেড়ে যায়। তবে মিষ্টিজাতীয় খাবারে ক্যালরির মাত্রা অনেকটা বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত মিষ্টি খাওয়াই শ্রেয়। একান্তই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হলে বিভিন্ন রকম ফল, খেজুর কিংবা কৃত্রিম চিনি দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে খেতে পারেন।

সাহরির সময় না খেয়ে থাকবেন না : সাহরির খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহরিতে কী খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করেই কিন্তু আপনাকে সারা দিন রোজা রাখতে হয়। সাহরিতে ভাজাভুজির পরিবর্তে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই ভালো। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরা থাকবে আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভুলেও কখনো সাহরির খাবার এড়িয়ে যাবেন না।

তাড়াহুড়ো করে খাবেন না : রোজা ভাঙার সময় খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। খাবার উপভোগ করে ভালো করে চিবিয়ে খান। তাড়াহুড়ো করে খাবার খেলে মস্তিষ্ক বুঝে উঠতে পারে না কখন আপনার পেট সম্পূর্ণভাবে ভর্তি হচ্ছে। তার ফলে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। ফলে ওজন বাড়তে বাধ্য। তা ছাড়া ভালো করে চিবিয়ে খেলে হজমও ভালো হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাবেন না : অনেকেই আছেন যারা ইফতারের সময় পেট ভর্তি করে খেয়ে ফেলেন আর রাতের খাবার এড়িয়ে চলেন। এমনটা কখনো করা উচিত নয়। ইফতারের পর কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাবারে যাতে কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য থাকে, সেদিকে নজর দিন।

শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না : গরমের সময় এমনিতেই শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তার ওপর রোজা রাখলে দিনের অনেকটা সময় জল খাওয়া যায় না। তাই উপোস ভাঙার পর দু-তিন লিটার জল খেতেই হবে। জলের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফলের রসও খেতে পারেন। শরীরের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থগুলো বার করে শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত মাত্রায় জল খেতেই হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close