জীবনযাপন ডেস্ক
যেভাবে সুখী জীবনযাপন করবেন
কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অতিরিক্ত চিন্তা মানুষকে চাপের মধ্যে রাখে সেই সঙ্গে সৃজনশীলতা কমে যায় এবং একজন মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও নষ্ট হয়। এর ফলে হতাশা, কথায় কথায় রেগে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দুশ্চিন্তার পেছনে কারণ কী তা আগে খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যা খুঁজে বের করতে পারলেই সমাধান পাওয়া সহজ হবে। জেনে নিন প্রয়োজনীয় টিপস -
স্পষ্টভাবে লেখা : প্রথমে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো লিখে ফেলুন। এতে করে আপনার ভালো চিন্তা ও খারাপ চিন্তা আপনি নিজে আলাদা করতে পারবেন। যে চিন্তাভাবনাগুলো বিরক্তিকর, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
পুরোনো বিষয় বারবার না ভাবা : পুরনো কোনো বিষয় নিয়ে নতুন করে বারবার চিন্তা করলে নিজের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ে। এজন্য পুরোনো বিষয় নিয়ে বেশি ভাবা বন্ধ করে দিন। বর্তমানে কী হচ্ছে তার ওপর ফোকাস করুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন। এতে করে আপনার মন-মেজাজ ভালো থাকবে। সবকিছু সহজে গ্রহণ করা শিখুন এবং কৃতজ্ঞতাবোধের অনুশীলন করুন। এতে করে নিজের মধ্যে রাগ, ক্ষোভ কমবে।
হরমোন নিঃসরণ : শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকবে শরীর থেকে এক ধরনের হরমোন নির্গত হয়, যাকে বলা হয় এন্ডারফিন হরমোন বা সুখী থাকার হরমোন। এটি আপনার মন-মেজাজকে ভালো রাখবে। আর মন- মেজাজ ভালো থাকলে তা একটি স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে আপনাকে সাহায্য করবে। নিজের ভালো ও খারাপ দুটো দিকই চিহ্নিত করতে শিখুন। এতে করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
ইতিবাচক কাজে নিয়োজিত থাকা : সব সময় ইতিবাচক বিষয় নিয়ে কথা বলা বা আলোচনা করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার চিন্তাভাবনাও ইতিবাচক হবে এবং আপনি কারো সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার ভেতরের রাগ বা ক্ষোভ কমবে।
নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যাওয়া : আপনি যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তার ওপর ফোকাস করুন, আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা জিনিসগুলো ছেড়ে দিন। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে উদ্বেগ তৈরি হয়। যখন আমরা বারবার নিজেদেরকে বলি যে আমরা ভালো নেই, তখন আমরা নিজেদের বিচার করতে শুরু করি, যা পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত চিন্তার মধ্যে আমাদের ডুবিয়ে দেয়।
প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস যেমন লেখালেখি, ব্যায়াম, ইতিবাচক আলোচনা আপনার মন-মেজাজ ভালো রাখবে। সেই সঙ্গে আপনি সহজে বা হুটহাট রেগে যাবেন না। রুটিনের মধ্যে জীবনযাপন করুন, যার ফলে রাগকে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
শুধু মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্যই না, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্যও নিজেকে সময় দেওয়া, শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন করা জরুরি। এ সব কিছু মানার পরেও যদি আপনার অতিরিক্ত চিন্তা করার অভ্যাস না যায়, তবে একজন মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
"