জীবনযাপন ডেস্ক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

জ্বর-সর্দিতে প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ

প্রকৃতিতে এখন শীত। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বর লেগেই আছে। এতে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে শঙ্কিত। তবে এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী দরকার, তা না বুঝেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজেকে কয়েক দিন অন্যদের থেকে পৃথক রাখুন। পরে অবশ্যই শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে।

শীতে প্রতি বছরই এ সময়টায় তাপমাত্রার তারতম্য থাকে। সেটা মাথায় রেখে প্রথমেই কোভিড হয়েছে ধরে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো। মনে রাখতে হবে, কোনো ধরনের জ্বর-সর্দি-কাশিকেই হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ এটা ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে আবার করোনার উপসর্গও হতে পারে। ফলে যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

চিকিৎসকদের মতে, তাপমাত্রার এই ওঠানামার সময়ে কোনোভাবেই জ্বর-সর্দি বা কাশির লক্ষণ নিয়ে বসে থাকা যাবে না। আবার আতঙ্কিত হওয়াও চলবে না। তবে কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও পরের অন্তত দুই সপ্তাহ বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। যেকোনো ধরনের সংক্রামক ব্যাধি এড়িয়ে ভালো থাকার এটাই সবচেয়ে বড় উপায়।

এ ছাড়া যতটা পারা যায়, ঠান্ডা না লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। গরম পোশাক পরার পাশাপাশি দিনের কিছুটা সময় গায়ে রোদ লাগানো গেলে ভালো। জ্বর-সর্দি যদি করোনাভাইরাস থেকে না হয়, তাহলে শীতের এ সময়টাতে গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া বা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা থাকে। এত দিন ধরে কোভিড রোগী দেখার পর চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই নিজেরা আগাম না ধরে বরং চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াটাই উত্তম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close