নিয়মিত শরীরচর্চায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। করোনাকালে যা বিশেষ প্রয়োজন। এ অবস্থায় অনেকে জিমে যেতে ভয় পাচ্ছেন। খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকের আবার সেই সাধ্য নেই। এ ছাড়া বারবার স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাÑ এসব তো আছেই। সাঁতার কাটাও আগের মতো হচ্ছে না। এসব কারণে বিপদ বাড়ছে। তাই মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন শরীরচর্চা বন্ধ না হয়। যেহেতু করোনা এখনই বিদায় নিচ্ছে না, তাকে ঠেকাতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকঠাক রাখতে হবে, যার অন্যতম মাধ্যম হলো শরীরচর্চা। এমনকি অন্য রোগ ঠেকাতেও এর জুড়ি নেই। অতএব স্বাস্থ্যসুরক্ষায় শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই।

একা শরীরচর্চা করলে যা করবেন

* দল বেঁধে বা প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করার অভ্যাস হলে ঘরে একা শরীরচর্চা করতে ভালো না-ও লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে সকালে উঠে মাঠে বা পার্কে চলে যান। লোকজনের ভিড় থাকলে এখানেও বজায় রাখুন ছয় ফুটের সামাজিক দূরত্ব।

* এমন ব্যায়াম করুন যাতে একাধারে পেশির জোর ও হৃৎস্পন্দন বাড়ে। প্রথমে দু-এক পাক দৌড়ে নিন বা জোর কদমে হাঁটুন। অভ্যাস থাকলে স্কিপিং করতে পারেন। ঘর থেকে মাঠে সাইকেল চালিয়েও যেতে পারেন।

* এরপর সার্কিট ট্রেনিংয়ের মতো করে পরপর প্লাঙ্কস, পুশ-আপ, স্কোয়াট, লেগ লিফ্ট, বার্পিস করুন।

* ২০-৩০ মিনিটে সারা শরীরের ওয়ার্কআউট খুব ভালোভাবে হয়ে যাবে। ক্ষমতা বাড়বে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের। তবে এই ব্যায়ামগুলো ঘরেও করতে পারেন।

জিমে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে

* জিমকর্মী ও অন্য ব্যবহারকারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে যেন যথাযথ প্রশিক্ষণ থাকে, দেখে নিতে হবে।

* পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিসপোজেবল গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জিমে আছে কি না দেখতে হবে। নিজের স্যানিটাইজার নিয়ে যেতে হবে।

* প্রতিটি যন্ত্র, ডাম্বেল, বারবেল, প্রতিটি সুইচ-হাতল, মাদুর, মেঝে, টয়লেট-সিট জীবাণুনাশক দিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিষ্কার করা হয় কি না খোঁজ নিতে হবে।

* সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে সীমিতসংখ্যক ব্যবহারকারী যেন একসময় ব্যায়াম করেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

* ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ব্যায়ামের ব্যবস্থা রয়েছে কি নাÑ দেখা প্রয়োজন। কারণ মাস্ক পরে ব্যায়াম করা ঠিক নয়।

* ঘরে এসে প্রথমেই স্যানিটাইজ করে স্নান করে নিন।

* জিমের জামা-কাপড় সাবান জলে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।

* নিয়ম মেনে জুতোও পরিষ্কার করে নিতে হবে বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের আগে।

করোনা আবহে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটির ওপর। শরীরচর্চা করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, অ্যান্টিবডি অনেক বেশি কার্যকর থাকে। তাই সবারই নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত।

সূত্র : আনন্দবাজার

"