ইসলাম ও ধর্ম ডেস্ক

  ০১ নভেম্বর, ২০২৪

যে আমলের কারণে পাপ নেকিতে রূপ নেয়

আল্লাহতায়ালার এক নাম গাফুর, আরেক নাম রাহিম। অর্থাৎ তিনি একদিকে যেমন ক্ষমাশীল, অন্যদিকে পরম করুণাময়। বান্দার গুনাহকে তিনি একটি আমলের কারণে নেকিতে পরিবর্তন করে দেন। যার প্রমাণ পাওয়া যায় কোরআন ও হাদিসে।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী ও অতিশয় দয়ালু।’ (সুরা নিসা : ১০৬) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন, আমি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা হিজর : ৪৯)

তাওবার কারণে আল্লাহতায়ালা বান্দার গুনাহগুলোকে কখনো সওয়াবে পরিণত করে দেন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে- ‘কিন্তু যারা তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহগুলোকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। (সুরা ফুরকান : ৭০)

এর একটা অর্থ এই যে, মহান আল্লাহ তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটান। ইসলাম গ্রহণের আগে সে পাপাচার করত, এখন সে সৎকর্ম করে; আগে শিরক করত, এখন শুধু আল্লাহরই ইবাদত করে। আগে কাফেরদের সঙ্গে মিলিত হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়ত আর এখন সে মুসলিমদের দলভুক্ত হয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ইত্যাদি। এর অন্য একটি অর্থ- তার পাপগুলো নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।

বেশি বেশি তওবা করা অনুগত বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। কোনো গুনাহ না থাকার পরও নবীজি প্রতিদিন ১০০ বার তাওবা করতেন। তওবা করলে আল্লাহতায়ালা খুশি হন। তওবাকে বলা হয় জান্নাতের সোপান। সুতরাং দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশমতো প্রতিদিন তওবা করা বান্দার জন্য জরুরি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিক তওবা করার তওফিক দান করুন। আমিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close