প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ নভেম্বর, ২০২১

লিথুনিয়ায় দূতাবাস খুলল তাইওয়ান, চীনের হুমকি

লিথুনিয়ায় ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস খুলেছে তাইওয়ান। চীন এর ঘোর বিরোধিতা করেছে এবং এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে। তাইপে গত বৃহস্পতিবার লিথুনিয়ায় ‘তাইওয়ান’ নাম ব্যবহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অফিস খোলার ঘোষণা দিয়েছে। ১৮ বছরের মধ্যে ইউরোপে এটিই দ্বীপদেশ তাইওয়ানের প্রথম কূটনৈতিক কার্যালয়। খবর রয়টার্সের।

লিথুনিয়া জুলাইয়ে জানিয়েছিল, তারা রাজধানী ভিলনিয়াসে তাইওয়ানকে একটি প্রতিনিধি অফিস খুলতে দিতে রাজি হয়েছে। একে বলা হবে ‘তাইওয়ানিজ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস’। ওই ঘোষণার পরপরই আগস্টে বেইজিংয়ে নিযুক্ত লিথুনিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানায় চীন। একই সঙ্গে ভিলনিয়াস থেকে চীনা রাষ্ট্রদূতও ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানায় বেইজিং। এবার লিথুনিয়ায় ডি ফ্যাক্টো তাইওয়ান দূতাবাস খোলার পদক্ষেপকে ‘চরম জঘন্য কাজ’ বলে নিন্দা করেছে চীন। তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতার পথে কোনো রকম পদক্ষেপ সফল হবে না’ বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কদর্য হস্তক্ষেপ। এর ফলে সব ধরনের পরিণতির জন্য লিথুনিয়াই দায়ী হবে। এই ভুল সিদ্ধান্ত লিথুনিয়া অবিলম্বে শুধরে নিক, সে দাবিই জানাচ্ছি আমরা।

তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ বলে মনে করে চীন। অন্য দিকে, তাইওয়ান দাবি করে তারা স্বাধীন, সার্বভৌম। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ‘অনিবার্য’ বলে মনে করেন এবং এ লক্ষ্যে তিনি দ্বীপটিকে নানা দিক থেকেই চাপে রাখছেন। তাইওয়ানের সঙ্গে বিশ্বের বেশি দেশের আদান-প্রদান হতে দিতে চায় না চীন। বরং তাইওয়ানকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছন্ন করেই রাখতে চায়। তাইওয়ানের সঙ্গে বিশ্বের মাত্র ১৫ টি দেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। আর ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের কূটনৈতিক কার্যালয় আছে তাইপে নগরীর নামে। চীনের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে এই কার্যালয়গুলোতে সরাসরি দ্বীপদেশ ‘তাইওয়ান’ নাম ব্যবহার না করে এর রাজধানী তাইপের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close