প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৪ এপ্রিল, ২০২১

‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ চালু জার্মানিতে

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউ’ মোকাবিলায় দেশজুড়ে একই নিয়ম চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানি। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা এই আইনের সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন করেছে।

দেশজুড়ে মারাত্মক সংকটের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে জার্মান চ্যান্সেলারের ক্ষমতা যে কতটা সীমিত গত প্রায় এক বছর ধরে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত করোনাভাইরাসের প্রকোপ থামাতে পারেনি। একাধিক মুখ্যমন্ত্রী বার বার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজস্ব ‘সমাধান সূত্র’ বেছে নিয়েছেন। ফলে দেশজুড়ে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ বেড়ে চলেছে। সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাজনীতির ওপর আস্থাও কমে যাচ্ছে। তাই ‘তৃতীয় ঢেউ’ সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যাঙ্গেলা মারকেল নিজের হুমকি অনুযায়ী ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। সংক্রমণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে কিছু ক্ষেত্রে দেশজুড়ে একই বাধ্যতামূলক বিধিনিয়ম চালু করার পথে এগোচ্ছেন তিনি। দেশজুড়ে এমন স্পষ্ট ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ জনসাধারণের কাছেও অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলে সরকার আশা করছে।

আইনি সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভা, সংসদের উভয় কক্ষ ও প্রেসিডেন্টের দ্রুত অনুমোদনের পথে এগোচ্ছে মারকেলের সরকার। মঙ্গলবারই মন্ত্রিসভা খসড়া অনুমোদন করেছে। নতুন এক অনুচ্ছেদ যোগ করে ফেডারেল সরকারের হাতে বিশেষ ক্ষমতা আনা হচ্ছে। এর আওতায় মহামারির সময় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার ১০০ পেরিয়ে গেলেই স্থানীয়, আঞ্চলিক ও রাজ্য স্তরের প্রশাসনকে ফেডারেল নিয়ম মানতে হবে। অর্থাৎ ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণের ক্ষমতা আর থাকবে না।

জার্মানিতে করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্তরে যোগাযোগের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলেও কর্মক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি চালু করা হয়নি বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠছে। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কর্মীদের জন্য যতটা সম্ভব ‘হোম অফিস’ বা বাসায় কাজের সুযোগ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও বাধ্যতামূলক নিয়ম চালু হয়নি। করোনা পরীক্ষার প্রশ্নেও এত দিন আবেদন-নিবেদনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এবার আইন সংশোধনের সময় কর্মদাতাদের জন্যও বেশকিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম চালু করা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞের মতে, এমন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে জার্মানি বেশ দেরি করে ফেলেছে। ফলে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি রোখা এখনই সম্ভব হবে না। খবর ডয়েচে ভেলে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close