প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ মার্চ, ২০২১

মঙ্গলের মাটিতে আঁচড়

লাল গ্রহ মঙ্গলের বুকে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে নাসার রোভার পারসেভের‌্যান্স। মঙ্গলের মাটিতে প্রায় ২১ দশমিক ৩ ফিট বা ৬ দশমিক ৫ মিটার এলাকা ঘুরে বেড়িয়ে সেখানে দাগ বসিয়ে দিয়েছে এই রোভার। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি মাইলফলক বলে জানিয়েছে নাসা। খবর বিবিসির।

মঙ্গলের মাটিতে ৪ মার্চ গবেষণা চালায় নাসার রোভার পারসেভের‌্যান্স। নাসা জানিয়েছে, রোভার এখন মঙ্গলের যে জায়গায় রয়েছে তার নাম ‘অক্টাভিয়া ই বাটলার ল্যান্ডিং’। কল্পবিজ্ঞানের লেখক অক্টাভিয়া ই বাটলারের নাম অনুসারে এ জায়গার নামকরণ করা হয়েছে। নাসার বিবৃতি অনুসারে, রোভার একবার যাতায়াত শুরু করার পর ৬৫৬ ফিট বা ২০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা কভার করবে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির পারসেভের‌্যান্স রোভার মোবিলিটি টেস্টবেড ইঞ্জিনিয়র আনাইস জারিফিয়ান জানান, মঙ্গলে চাকাবিশিষ্ট গাড়ির দাগ বসেছে। গ্রহটিতে এমন চাকার দাগ দেখতে পাব , তা কোনোদিন কল্পনা করিনি।

তিনি আরো বলেন, একবার পারসেভের‌্যান্স যাত্রা শুরু করলে তা গড়গড়িয়ে এগিয়ে যাবে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেবে। আগামী দুই বছরের জন্য এর পারফরম্যান্স নিয়ে নিশ্চিন্ত বিজ্ঞানীরা। এদিন মঙ্গলের মাটিতে প্রায় ৩৩ মিনিট ঘুরে বেড়ায় পারসেভের‌্যান্স।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে নেমেছে নাসার রোভার পারসেভের‌্যান্স। মঙ্গলের জেজেরো কার্টারে নেমেছে সে। তারপর থেকে একের পর এক ছবি পাঠাচ্ছে। এবার তারই একটি ছবি প্রকাশ পেল। ছবিটি প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। ‘দ্য ট্রেস গ্যাস অরবিটার’ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ছবিটি পাঠায়। ছবিতে দুটি গর্তের মাঝখানে দেখা গিয়েছে নাসার রোভারকে। ছবিটি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া রোভারের আশপাশে আরো একাধিক জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহে কয়েকশ কোটি বছর আগে বিশাল একটি হ্রদ ছিল। সম্ভবত সেই হ্রদে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলেও ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবারের মঙ্গলাভিযানের প্রধান লক্ষ্যই হলো লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান খুঁজে বের করা। রোভার প্রথমে যে দুটি ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সেখানে ক্যামেরার লেন্সে ধুলার আস্তরণের মধ্য দিয়ে তার সামনে ও পেছনের দিকটি দেখা যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, রোভারটি মঙ্গলগ্রহের উপরে থাকা ব-দ্বীপের মতো চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। আগামী দুই বছর এই এলাকাটিতেই পারসেভের‌্যান্স প্রাণের সন্ধান চালাবে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, মঙ্গলগ্রহে পাথরের যেকোনো রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে অতীতে যদি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকেও থাকে, তাহলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত মেলার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close