প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
সৌদির তেল স্থাপনায় হুতিদের ড্রোন হামলা
সৌদি আরবের তেল শিল্পের কেন্দ্রস্থলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বাহিনী। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর পেট্রোলিয়াম রপ্তানির প্রধান বন্দর রাস তানুরেও হামলা হয়েছে। এসব হামলাকে বৈশ্বিক জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর চালানো ব্যর্থ হামলা বলে অভিহিত করেছে রিয়াদ। খবর বিবিসি ও রয়টার্স অনলাইনের।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাগরের দিক থেকে আসা একটি ড্রোন দিয়ে রাস তানুরের তেল সংরক্ষণাগার এলাকা, একটি তেল শোধনাগার এলাকা ও বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র তীরবর্তী তেল লোডিং স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোনগুলোকে বাধা দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দাহরানে সৌদি আরামকোর একটি আবাসিক এলাকার কাছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো এসে পড়েছে।
এসব হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। হুতিরা ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সঙ্গে ছয় বছর ধরে লড়াই করছে। এই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে তারা সৌদি আরবের তেল শিল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর কেন্দ্রস্থলের দুটি প্লান্টে হুতিদের ড্রোন হামলায় সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস পেয়েছিল।
সৌদি আরবে হামলার কথা ঘোষণা করে হুতিরা জানায়, আরামকোর স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি দাম্মাম, আসির ও জাজান শহরে সৌদি সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতেও হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে মন্ত্রণালয়টির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এমন নাশকতামূলক কাজ শুধু সৌদি আরবকেই লক্ষ্যস্থল করে না, বিশ্বের নিরাপত্তা ও জ্বালানি সরবরাহের স্থিতিশীলতাকেও বিঘিœত করে, এভাবে এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
এর আগে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী জানিয়েছিল, তারা ‘বেসামরিক লক্ষ্যস্থলের’ উদ্দেশে হুতিদের ছোড়া ১২টি অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন বাধা দিয়ে ধ্বংস করেছে এবং জাজানের উদ্দেশে ছোড়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করেছে।
গত রবিবার হুতি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া জানিয়েছিলেন, তারা সৌদি আরবের কেন্দ্রস্থল লক্ষ্য করে ১৪টি ড্রোন ও আটটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদির পূর্ব প্রদেশের যে স্থানে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে আরামকোর অধিকাংশ উৎপাদন ও রপ্তানি সংক্রান্ত স্থাপনাগুলো অবস্থিত।
"