আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৬ আগস্ট, ২০২০

বালি দ্বীপ পর্যটকদের জন্য বন্ধই থাকছে

করোনা মহামারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে চলতি বছর বিদেশি পর্যটকদের জন্য বালি দ্বীপের দরজা আর উন্মুক্ত করছে না ইন্দোনেশিয়া। জনপ্রিয় এই অবকাশযাপন কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ এর আগে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দ্বীপটিতে বিদেশি পর্যটকদের আসার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল, কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় উদ্বেগের মুখে ওই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে; জানিয়েছে বিবিসি। প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক বালিতে ছুটি কাটাতে যান। বালির নির্জন সমুদ্রসৈকত, পাহাড়ের ধাপে ধাপে থাকা সবুজ ধানের খেত ও দ্বীপজুড়ে বিস্তৃত হিন্দু মন্দিরগুলোর আকর্ষণে পর্যটকরা সেখানে জড়ো হন। কিন্তু মহামারির সঙ্গে লড়াইরত অন্যান্য দেশের মতো ইন্দোনেশিয়াও বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর সেখানে পর্যটকের সংখ্যা হঠাৎ করেই কমে যায়। বালি দ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার এর বাসিন্দারা চাপে পড়ে যায়। এখন নতুন সিদ্ধান্তে তাদের উদ্বেগ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসের শুরু থেকে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের জন্য বালির দরজা খোলা হয়েছিল। বিধ্বস্ত পর্যটন শিল্পকে আবার সচল করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় ভ্রমণকারীদের জন্য সমুদ্রসৈকত, মন্দির ও অন্য নিদর্শনগুলো খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও দ্বীপটির হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোকে ব্যবসা ধরে রাখার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছিল। রিজোর্টগুলোর অনেক কর্মী নিজ নিজ গ্রামে বা ছোট শহরে ফিরে যাওয়ায় কর্মী সংকটেরও মোকাবিলা করতে হচ্ছিল তাদের। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়েয়ান কোস্তার বলেছেন, বালিসহ ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ অনুমোদন করার মতো উপযুক্ত নয়। তার ওই বিবৃতিতে বালি কখন বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য খোলা হবে তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু এতে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ‘২০২০ শেষ না হওয়া পর্যন্ত’ বিদেশি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হবে না। গভর্নর জানিয়েছেন, বিচক্ষণতা ও সতর্ক প্রস্তুতি ছাড়া বিদেশি পর্যটকদের আসার অনুমতি দিলে যেকোনো ব্যর্থতায় দ্বীপটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত সোমবার পর্যন্ত বালিতে ৪৫৭৬ জন করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৫২ মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ৬৭৫৯ জনের। মৃত্যুর এ সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close