ডা. সানিয়া সুলতানা

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

স্তন ক্যানসারের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন যারা

স্তন ক্যানসার আমাদের শরীরে নিজেদের অজান্তে বেড়ে চলে। এর প্রধান কারণ, এই রোগ সম্পর্কে আমাদের অসচেতনতা। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে একে শনাক্ত করা গেলে অনেক রোগী বাঁচানো সম্ভব।

কীভাবে স্তন ক্যানসার হয় : স্তন গঠিত হয় চর্বিযুক্ত, তন্তুযুক্ত, গ্রন্থিযুক্ত কোষ দিয়ে। স্তনের মধ্যে থাকা কোষগুলো হঠাৎ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে শুরু করলে এ রোগ হয়। স্তনে থাকা বিভিন্ন কোষের মধ্যে যেকোনো কোষেই এ রোগ হতে পারে। তবে প্রধানত দুধ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কোষেই এই প্রকার ক্যানসার বেশি দেখা যায়।

উচ্চ ঝুঁকিতে কারা : যাদের ৩০ বছর বয়সের পরে প্রথম সন্তান হয়েছে, বৃদ্ধা, অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা, যাদের পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস আছে, মেনোপজের পর যারা হরমোন থেরাপি নেন ও জেনেটিক কারণ।

স্তন ক্যানসারের লক্ষণ কী : স্তনের আকারে পরিবর্তন, সম্পূর্ণ স্ফীত স্তন, স্তনের মধ্যে পি- বা চাকা অনুভব করা, স্তনের ত্বকে কমলার খোসার মতো দেখতে স্পিলিং/পিটিং, স্তনবৃন্ত ধীরে ধীরে উল্টে যাওয়া, স্তনবৃন্তের চারপাশে বা স্তনের কোথাও গাঢ় পিগমেন্টেশন বা ফ্লেকিং, স্তনের ত্বকের রঙের পরিবর্তন হওয়া, ব্যথা অনুভূত হওয়া ও স্তনবৃন্ত থেকে দুধ ছাড়া অন্য তরল পদার্থ নির্গত হওয়া।

স্তন ক্যানসার নির্ণয় যেভাবে : রোগের ইতিহাস জেনে, উভয় স্তন পরীক্ষা করে, এছাড়া পরীক্ষা করা যায় ম্যামোগ্রাম বা স্তনের এক্স-রে, স্তনের আলট্রাসাউন্ড, টিস্যু বায়োপসি।

প্রতিরোধ : স্তন ক্যানসারের জন্য স্ক্রিনিং সম্পর্কে জানার জন্য চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে। স্তনের গঠনের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন এবং নিয়মিত নিজেই স্তন পরীক্ষা করুন। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না; তবে প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থাপনায় অবশ্যই সাহায্য করতে পারে। ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ ত্যাগ করা। নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।

লেখক : গাইনি বিশেষজ্ঞ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার,

মিরপুর-পল্লবী শাখা

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close