ডা. মো. সেতাবুর রহমান
স্তন ক্যানসারে যে ঝুঁকি এড়ানো কঠিন
সচেতনতার মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি মোকাবিলা করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জানা যায় না ঠিক কী কারণে ক্যানসার হয়। জিন মিউটেশন মা-বাবা থেকে সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হতে পারে। বায়োলজিক্যালি ক্যানসারের জন্য কোষের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএকে দায়ী করা হয়। ডিএনএর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ জেনেটিক বা পরিবেশগত- উভয়ই হতে পারে। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অপরিহার ও পরিহারযোগ্য দুই ধরনের।
অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি : স্তন ক্যানসার নারী-পুরুষ- উভয়ের হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের প্রায় ১০০ গুণ বেশি হয় এ ক্যানসার। এতে আক্রান্তের হার ৪০ বছর বয়সের পরে বৃদ্ধি পায়। ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ। গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রমণাত্মক স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে দুই জনের বয়স ৫৫ বছরের বেশি।
পরিবারে কারও স্তন বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে সে পরিবারের অন্যদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছরের কম বয়সী নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। যদি এক স্তনে ক্যানসার ধরা পড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে অন্য স্তনে ক্যানসার ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকে।
১২ বছরের আগে ঋতু¯্রাব শুরু এবং মেনোপজ ৫৫ বছরের পরে হলে, বেশি বয়সে সন্তান জন্ম বা সন্তান না হওয়ার কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। স্তনের টিস্যু ঘন হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু জিনের জেনেটিক পলিমরফিজমের কারণে ঝুঁকি কমবেশি হয়।
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কলোরেক্টাল সার্জন ল্যাবএইড ক্যানসার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ঢাকা
"