অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান

  ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

চিকুনগুনিয়া প্রাণঘাতী নয়

ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশাই চিকুনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাসের বাহক। প্রথমদিন থেকে এ জ্বরে তীব্র মাত্রার জ্বর ও র‌্যাশ থাকে এবং সঙ্গে থাকে তীব্র শরীর ব্যথা। সঙ্গে সঙ্গে ছোট-বড় সব গিরায় তীব্র ব্যথা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গিরা ফুলেও যেতে পারে।

হাঁটু ও পায়ের পাতায় অসহ্য ব্যথার কারণে হাঁটা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। ব্যথা ৭-১০ দিনের ভেতরে সেরে যায়। কিন্তু দীর্ঘায়িত হয়ে থাকতে পারে মাস এমনকি বছর পর্যন্ত। স্থায়ী হতে পারে র‌্যাশ। ডেঙ্গুর তুলনায় চিকুনগুনিয়ায় র‌্যাশ বেশি হয়। এ ছাড়া রোগী খুবই দুর্বল বোধ করেন। খাওয়া-দাওয়ায় খুবই অনীহা হয়। কারও কারও বমি হয়।

চিকুনগুনিয়ায় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি নেই। রোগীর রক্তক্ষরণ হয় না। তাই রোগীকে রক্ত দেওয়ারও প্রয়োজন হয় না। ডেঙ্গু চার রকমের ভাইরাস দ্বারা হয়, তাই চারবার হতে পারে। চিকুনগুনিয়া একবার হলে পরে আর হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি একবারেই নেই। তাই এটি নিয়ে আতঙ্ক বা ভয়ের কিছু নেই। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে কমতে পারে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব। তাই ঘরের টবের পানিসহ, বাড়ির আশপাশে ছোট জলাধার প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা, মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করা, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা, সংক্রমণ এড়াতে মশার কামড়ের সংস্পর্শে কমিয়ে আনার এ জ্বর নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।

লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., শ্যামলী, ঢাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close