নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ মার্চ, ২০২৩

বিএডিএনের সাপ্লিমেন্টস-বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা

বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব ডায়েটেটিকস অ্যান্ড নিউট্রিশনের (বিএডিএন) উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো হয়ে গেল সাপ্লিমেন্টস-বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা। গত ১৭ মার্চের এ আয়োজনে সারা দেশ থেকে ১০০ জনেরও বেশি পেশাদার পুষ্টিবিদ, ডায়েটিশিয়ান, ফিজিশিয়ান এবং অন্যান্য হেলথ পেশাদার উপস্থিত ছিলেন।

বিএডিএনের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ হোম ইকোনমিকস কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর শাহীন আহমেদের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি এবং স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ এবং চিফ ডায়েটিশিয়ান সংঘমিত্রা চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হন নাসিবের চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গনি শোভন সিআইপি। এ ছাড়া স্পিকার হিসেবে যুক্ত হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের লেকচারার অদিত মুক্তাদির।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক সাজেদা কাশেম জ্যোতি প্রথম বক্তব্য দেন এবং আয়োজিত কর্মশালার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের আয়োজনে নাসিবের পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়ে দেশের পুষ্টিবিদদের পেশাগত দক্ষতা এবং মানোন্নয়নে কাজ করার জন্য জোর দেন। নতুন নতুন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় পুষ্টিবিদদের আরো অনেক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোগীর উপকারে এগিয়ে যেতে এবং অপচিকিৎসা বন্ধে ভূমিকা রাখার ওপর জোর দেন। তিনি পুষ্টিবিদদের কোন ধরনের সাপ্লিমেন্টস দেওয়া উচিত, কোনটা দেওয়া উচিত নয় এ বিষয়ে সম্যক ধারণা দেন।

প্রশিক্ষক অদিত মুক্তাদির বলেন, অপচিকিৎসা, ওষুধ এবং সাপ্লিমেন্টস ব্যবহারের ব্যাপারে ফিজিশিয়ান, ডায়েটিশিয়ান সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস হলেই তা নিরাপদ এবং উপকারী হবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। মানহীন সাপ্লিমেন্টস ব্যবহার বা প্রেস্ক্রাইব করার আগে নিজেদের ভালোভাবে এর উপাদান সম্পর্কে জানা এবং অন্য ওষুধের সঙ্গে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে বুঝে প্রেস্ক্রাইব করার বিষয় তিনি জোর দেন। কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, একজন স্বাস্থ্য পেশাদার হিসেবে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে, যেন অজ্ঞতার কারণে রোগীর ক্ষতি না হয়। বিএডিএন বছরজুড়ে পুষ্টিবিদদের নানা ধরনের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

পুষ্টিবিদের তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন নয় বরং রোগীর সেবায় যত্নশীল এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, বিএডিএন এ কাজে অতীতের মতোই ভবিষ্যতেও তাদের সঙ্গে থাকবে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মশালায় অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় সঠিক উত্তরদাতার মধ্য থেকে ১০ জনকে পুষ্টিবিষয়ক বই উপহার দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close