মৌসুমি অ্যালার্জি, পরিবেশ দূষণ, ধুলাবালি ইত্যাদি কারণে প্রায় অনেকেরই চোখ নিয়মিত চুলকায়। যারা অতিরিক্ত চোখে হাত দিয়ে থাকেন বা চোখ ঘষাঘষি করেন তাদের এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়। এ ছাড়া চোখের শুষ্কতা, চোখ ওঠা ও একজিমার কারণেও চোখ চুলকানোর সমস্যা হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি কমানো যেতে পারে। তার পরও কাজ না হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চুলকালে চোখ কোচলানো উচিত নয়, কেননা এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। চোখ চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।

ঠাণ্ডা সেঁক : চোখের ফোলা ও চুলকানি কমাতে ঠাণ্ডা সেঁক দিতে পারেন। প্রথমে চোখের ওপর ও আশপাশে বরফপানির ছিটা দিন। এরপর পরিষ্কার তোয়ালেতে বরফের টুকরো মুড়িয়ে বন্ধ চোখের পাতার ওপর কিছুক্ষণ ধরে রাখুন।

ক্যামোমাইল : চোখ চুলকানি সমস্যার আরেকটি ঘরোয়া সমাধান হলো, ক্যামোমাইল। এক মগ পানিতে একটি ক্যামোমাইল টি-ব্যাগ ফুটিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট পর ছেঁকে নিয়ে পানীয়টাকে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা করুন। তারপর এ পানীয়তে কটন প্যাড বা তুলার প্যাড ভিজিয়ে চোখের চারপাশ মুছুন। এতে ফোলা ও চুলকানি কমবে।

শসা : শসায় আছে ‘অ্যান্টি-ইরিটেশন প্রোপার্টিজ’ যা জ্বালা-পোড়া, ফোলাভাব, চুলকানো ইত্যাদি সমস্যায় দারুণ কার্যকর। শসার দুটি টুকরোকে রেফ্রিজারটরে ১৫-২০ মিনিট বা বরফ পানিতে ১০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা করুন। তারপর টুকরা দুটিকে বন্ধ চোখের পাতার ওপর ১০ মিনিট রাখুন। এতে চুলকানি কমে যাবে।

টি-ব্যাগ : চায়ে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে, যা চোখের চুলকানি দূর করতে পারে। একটি গ্রিন/ব্ল্যাক টি-ব্যাগ দিয়ে এককাপ চা তৈরি করুন ও টি-ব্যাগটিকে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা করে ফেলুন। এরপর চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে ঠাণ্ডা টি ব্যাগকে বন্ধ চোখের ওপর কিছুক্ষণ রাখুন।

অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরার জেলও চোখের চুলকানি কমাতে পারে। একটি পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে চোখের আশপাশে বা বন্ধ পাতার ওপর ব্যবহার করুন।

ঠাণ্ডা পাউরুটি : এক পিস ঠাণ্ডা পাউরুটিও চোখের প্রদাহ, চুলকানি ও অন্যান্য সমস্যা কমাতে পারে। এক পিস পাউরুটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। তারপর বন্ধ চোখের ওপর কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। কখনো কখনো সহজ কিছুতেই সেরা সমাধান পাওয়া যায়।

আলু : আলুতে থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান চোখ চুলকানোর সমস্যা দ্রুত উপশমে সাহায্য করে। তা ছাড়া চোখের ফোলাভাব ও লালচেভাব কমাতেও সাহায্য করে আলু। একটি আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতলা করে কেটে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা টুকরাটি বন্ধ চোখের পাতার ওপর ১৫-২০ মিনিট রাখুন।

মধু ও দুধ : অনেক ছোটখাটো শারীরিক সমস্যার সেরা প্রতিকার হলো মধু। এর সঙ্গে হালকা গরম দুধ মেশালে আরো কার্যকর হয়ে ওঠে। একই পরিমাণ মধু ও দুধ মিশিয়ে দুটি কটন প্যাডে লাগিয়ে বন্ধ চোখের পাতার ওপর ১০ মিনিট ধরে রাখুন। এতে চুলকানি, জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমে যাবে।

"