স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ২৪ নভেম্বর, ২০২২

যে ১০ খাবার সুস্থ রাখবে কিডনি

কিডনি শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই এই অঙ্গটির প্রতি সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে কিডনিও আপনাকে ভালো রাখতে পারবে। চিকিৎসকদের মতে, অধিকাংশ ক্রনিক কিডনি রোগীই জানেন না তাদের রোগটি রয়েছে। মানহীন খাদ্যাভ্যাস ক্রনিক কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তবে বেছে বেছে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি ফের সুস্থ অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবার কিডনির জন্য খুবই ভালো। এখানে কিডনির উপকার করে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো।

ব্লুবেরি : এই ফল কিডনিকে সুস্থ রাখে বললে কম বলা হবে, কারণ এটি রোগাক্রান্ত কিডনিকে সারিয়েও তুলতে পারে।ব্লুবেরিতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার রয়েছে।

তৈলাক্ত মাছ : মাছ প্রোটিন সরবরাহ করে। টুনা ও স্যালমনের মতো তৈলাক্ত মাছ খেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও পাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, ওমেগা-৩ ফ্যাট রক্তের অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট (ট্রাগ্লাইসেরাইড) কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে থাকে। তবে এরই মধ্যে ক্রনিক কিডনি রোগ থাকলে মাছের ফসফরাস ও পটাশিয়াম মাত্রা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বাঁধাকপি : এই পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজিতে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম উভয়েরই উপস্থিতি কম। অন্যদিকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে। বাঁধাকপিকে সালাদ করেও খাওয়া যায়।

ক্র্যানবেরি : ফলটি প্রস্রাবের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাধারণত প্রস্রাবের সংক্রমণ মূত্রাশয় পর্যন্ত অবস্থান করলেও কখনো কখনো কিডনি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। এর ফলে কিডনির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত ক্র্যানবেরি খেলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতে পারে। এছাড়া ক্র্যানবেরির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রদাহ উপশম করে এবং হৃদপি- ও পরিপাক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

গাঢ় সবুজ শাক : পালংশাক বা পাতাকপির মতো গাঢ় সবুজ শাকও রোগাক্রান্ত কিডনিকে সারাতে পারে। তবে গাঢ় সবুজ শাকে ভালো পরিমাণে পটাশিয়ামও থাকে, তাই ক্রনিক কিডনি রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।

অলিভ অয়েল : অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল সার্বিক সুস্থতা বৃদ্ধি করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব হার্ভার্ডের গবেষণা মতে- অলিভ অয়েল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে এবং হার্ট-রক্তনালির রোগ, স্মৃতিভ্রংশ রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। অলিভ অয়েল খাবারকে লবণ ছাড়াই মজাদার করতে পারে, যার ফলে খাবারে লবণের পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়।

রসুন : রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে। ক্রনিক কিডনি রোগীদের কিডনির সুরক্ষায় অ্যালিসিন প্রেসক্রিপন ওষুধের মতোই কাজ করে। কিডনির সুস্থতায় সেরা খাবারের তালিকা তৈরি করলে রসুনকে অবশ্যই রাখতে হবে।

ফুলকপি : ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৯ এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ ফুলকপিতে এমন উপাদান রয়েছে যা শরীরের কিছু বিষাক্ত পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। ফুলকপি তাদের বড় ধরনের সাহায্য করতে পারে, যাদের কিডনির ফিল্ট্রারেশন সক্ষমতা কমে গেছে। ফুলকপিতে পটাশিয়াম ও ফসফরাসও থাকে, তাই ক্রনিক কিডনি রোগ থাকলে এই খাবার সীমিত করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডিমের সাদা অংশ: কিডনি সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য ডিমের সাদা অংশ বিশেষভাবে সুপারিশকৃত খাবার। এটি শরীরে প্রোটিন বাড়াতে সাহায্য করে, যা শেষ পর্যায়ের ক্রনিক কিডনি রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। ডায়ালাইসিস রোগীদেরও ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

আপেল : আপেলের ক্যানসার বিরোধী কোয়ারসেটিন ও ফাইবার কোলেস্টেরল ও রক্ত শর্করাকে স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখতে পারে, যার ফলে কিডনি সুস্থ থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খেতে পারেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close