স্বাস্থ্য ডেস্ক
রক্তদানে কোনো ভয় নয়
প্রয়োজনেই রক্ত দিতে হয়। এখন পর্যন্ত রক্তের বিকল্প তৈরি হয়নি। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রক্তের চাহিদা বেশি হলেও স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীর সংখ্যা কম। রক্তদানে প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করে আমাদের মনের ভয় এবং কিছু ভুল ধারণা।
রক্তদান নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
সুইয়ের ভয়, দুর্বল হয়ে পড়ব, আমার রক্তের গ্রুপ তো সহজলভ্য, আগে তো রক্ত দিতে পারিনি, রক্ত দিতে গিয়ে যদি কোনো রোগের সংক্রমণ হয়- এসব ভাবনার কারণে অনেকেই রক্ত দিতে চায় না। তবে জেনে রাখা ভালো, রক্ত দেওয়ার সুবিধা কিন্তু অনেক। এই যেমন :
* রক্তদানের ফলে প্রতি চার মাসে একবার করে বছরে তিনবার রক্তদাতার ব্লাড প্রেসার, পালস রেট থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, সিফিলিস, এইডস ও ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং টেস্ট হয়ে যায়।
* রক্তের প্রধান তিন উপাদানের একটি অণুচক্রিকার আয়ু ৮-৯ দিন, শ্বেতকণিকার আয়ু ১৩ থেকে ২০ দিন এবং লোহিত কণিকার আয়ু ১২০ দিন। নির্দিষ্ট এ সময় পর কণিকাগুলো নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। কাজেই আপনি যদি রক্ত দেন তো একজন মুমূর্ষু মানুষের জীবন বাঁচবে। আর না দিলে প্রস্রাব বা পায়খানার সঙ্গে তা বেরিয়ে যাবে।
* কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্ত দিতে গড়ে একজন ডোনারের ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। এক ব্যাগ এই রক্তকে প্রসেসিং করে চার ব্যাগ রক্ত উপাদানে আলাদা করা যায় কোয়ান্টাম ল্যাবে। বাঁচানো যায় চারজন মুমূর্ষু
রোগীকে।
রক্তদানের পর করণীয়
* বিশ্রাম নিন
* গাড়ি চালাবেন না
* প্রচুর পানি পান করুন
* প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাবার খান
* ব্যায়াম ও শারীরিক কসরত করবেন না
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. হাসনাইন নান্না
সহযোগী অধ্যাপক, হৃদরোগ বিভাগ
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ
সিরাজগঞ্জ।
"