স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ১৯ মে, ২০২২

ঋতু বদলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি

চিকিৎসকরা লক্ষ করেছেন, শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে। শুধু শীতই নয়, গরমেও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, গ্রীষ্মের মাঝে কিছুদিন বৃষ্টি বা ঝড়ে ঠান্ডা থাকলেও অধিকাংশ সময় ভয়ংকর গরম পড়ে। এ সময় আমাদের কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম শরীরকে তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যই তার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে আমাদের রক্তবাহী নালিকাগুলো প্রসারিত হয়ে আর্টারিয়াল প্রেশার হ্রাস করে। অন্যদিকে শীতকালে ঠান্ডায় এই নালিকাগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ দুটো ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আলাদা। তাই সতর্কতাও আলাদা হওয়া জরুরি। গরমের সময় আমাদের হৃৎপিণ্ডকে অন্যান্য সময় থেকে ২ থেকে ৪ গুণ বেশি রক্ত প্রবাহিত করতে হয়। যদি দেহের রক্ত ঠিকঠাক ঠান্ডা না হয়, তাহলেই হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় তা ভয়ংকর সমস্যাও হয়ে দাঁড়ায়।

গরমে হৃদরোগের সমস্যাগুলো কী?

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য গরম একটি ভয়ংকর সময়। এমনকি তাদের হৃদযন্ত্রের জন্যও ডায়াবেটিস ভালো কিছু না। হাই-ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন কোলেস্টেরল লেভেল যাদের আছে, তাদের এ সময় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বেশি। তবে গরমে হার্ট ফেইলারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস মেলিটাস, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ঘুম না হওয়া- এসব বাজে সমস্যা গরমে ভোগায় হৃদরোগীদের।

কীভাবে শনাক্ত করবেন?

চিকিৎসকরা অবশ্য বলেন গরমে হৃদরোগের লক্ষণ ব্যক্তিবিশেষে আলাদা। কিন্তু কিছু কিছু লক্ষণ আছে, যা হৃদরোগের চিহ্ন হিসেবে কাজ করে।

* বুক ভারী হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা করা

* নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

* শরীরে জোরে ঘাম ছোটা এবং বুকে ধকধক শব্দ হওয়া

* পা ফুলে যাওয়া

* মাথা ঘোরানো

* চোয়াল ও হাতে ব্যথা

* গ্যাসের বড়ি খাওয়ার পরও গ্যাসের সমস্যা না যাওয়া

* হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

গরমে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবেন

* সবসময় মোটামুটি ঠান্ডা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত স্থানে থাকার চেষ্টা করবেন।

* ব্যায়ামের ক্ষেত্রে একটু শিথিল হয়ে করুন। এমনিতেই আপনার হৃৎপিণ্ড গরমে বেশি কাজ করে। তাই অতিরিক্ত করার প্রয়োজন নেই।

* বেশি বেশি পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।

* ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

* মিষ্টি বা চিনিজাতীয় খাবার না খেয়ে ফল বা প্রাকৃতিক চিনি-সমৃদ্ধ খাবার খান।

* গরমে সবজি, ডাল, ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।

* নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং পরামর্শ নিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close