স্বাস্থ্য ডেস্ক
শরীরে পানির ঘাটতি যেভাবে বুঝবেন
‘পানির অপর নাম জীবন’ এ বিষয়ে আমরা সবাই জানি। কারণ আমাদের শরীরের অধিকাংশই পানি। আর পানির মাধ্যমে শরীরের বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। এ জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকা জরুরি। আমাদের জীবন হয়ে গেছে দ্রুতগতির। আর এজন্য অনেকেই পানি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের দেখে বাচ্চারাও এই অভ্যাস শিখছে। তাই পানি পানের বিষয়ে আমাদের সবাইকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
শীতকাল ও পানি পান কম করা : শীতে ঘাম কম হয়। ফলে পানির পিপাসাও কমে যায়। কিন্তু এ সময় পানি পান কমিয়ে দিতে হবে বিষয়টা এমন না। উল্টো শীতে শরীরে পানির চাহিদা থাকে। তাই এ সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে যেসব সমস্যা হয় : পানির ঘাটতি হলে দেখা যেতে পারে এই সমস্যাগুলো-
১. মাথাব্যথা। ২. কোষ্ঠকাঠিন্য। ৩. দুর্বলতা। ৪. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। ৫. অস্থিসন্ধিতে ব্যথা। ৬. মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি। ৭. লো ব্লাডপ্রেশারের সমস্যা।
৮. কিডনির সমস্যা ইত্যাদি।
পানির ঘাটতির লক্ষণ : শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হলে প্রাথমিকভাবে এই উপসর্গগুলো দেখা যায়।
১. সব সময় খিদে পায়। ২. প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। প্রস্রাব করার সময় জ্বালা করতে পারে। ৩. শ্বাসের মধ্যে দুর্গন্ধ থাকে। ৪. মাথাব্যথা। ৫. দুর্বলতা।
এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে নিজে খেয়াল করে দেখুন আপনি কী পরিমাণ পানি পান করছেন। কম হলে আজই পানি পান বাড়িয়ে দিন।
কতটা পানি পান করতে হবে : এভাবে কোনো মানদণ্ড নেই। একেকজন ব্যক্তির পানি পানের চাহিদা হবে একেক রকম। যিনি রোদে কাজ করেন তার পানির চাহিদা হবে বেশি আর যিনি অফিসে বসে কাজ করেন তার চাহিদা অবশ্যই কম হবে। দিনে অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া চাইলে ডাব, শসা, ডাল, তরকারির ঝোল ইত্যাদি বেশি করে খাদ্যতালিকায় রাখুন।
"